ভঙ্গুর অর্থনীতিতে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তানের করুণ চিত্র ফের প্রকাশ্যে এলো। দেশটির পরিবারগুলো তিনবেলা খাবার জোটাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তাই নিরুপায় হয়েই পবিত্র রমজান মাসে রুটি ও চা খেয়ে রোজা রাখছেন। খবর আরব নিউজের।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দেশটিতে জীবনযাপন ও খাবারের মূল্য আকাশচুম্বী। এর মধ্যে দেশটির বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক আফগানরা চাকরি হারিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী যখন মুসলিমরা নানা আয়োজনের মাধ্যেম পবিত্র রমজান মাস পালন শুরু করেছে, সেখানে আফগানরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার জোটানোর চিন্তায় দিন গুনছে।
তিনি আরও বলেন, আমিসহ আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজনই কাজ করত আগে, কিন্তু এখন মাত্র একজন কাজ করে। সেই আয়ে আমাদের সংসার ঠিকমত চলে না।
কাবুলের এক বাসিন্দা মোহাম্মদ নাঈম। তিনি তালেবান সরকারের আগে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চালক হিসেবে কাজ করতেন। নাঈম বলেছেন, বিশ্বাস করেন, গত দুইবছরে আমি আমার জন্য এক টুকরো কাপড় বানাইনি। এর কারণ হিসেবে তিনি নিজের সংসারে অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা জানান।
৭১ বছর বয়সী নাঈম জানান, গত কয়েক মাস থেকে তিনি কোনো পেনশন পাননি।
‘অতীতে ইফতার ও সেহরিতে আমার পরিবারে নানা ধরনের খাবার থাকত, কিন্তু এখন কোনো খাবারেই নেই। আমি যদি মাংস খাইতে চাই তাহলে সেটা কোনো দাতব্য সংস্থার হবে, কিন্তু আমি আমার পরিবারের জন্য কেনার মতো সামর্থ্য নাই’, বলেন মোহাম্মদ নাঈম।
আরেক নারী অধিকারকর্মী কারিশমা নাজারি বলেন, সারাদিন রোজা রেখে এরপর ইফতারে ও সেহরিতে কিছু না খাওয়া আমার এবং বেশিরভাগ আফগান পরিবারের জন্য অনেক কষ্টকর। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগেরই গ্রিন টি ছাড়া খাবার মতো কিছুই নাই।