অন্য ভাষায় :
সোমবার, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
১৪ বছর পর ‘ভুলভুলাইয়া’র ছবিতে অক্ষয় কুমার ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছে র‌্যাব’ উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাজশাহীর দুই জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ, ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিছিন্ন গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবেন তাই মেয়র পদ ছাড়লেন হারিছুর রহমান তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নাশকতামূলক

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটা আগুনের ঘটনাটি নাশকতামূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসাথে এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে মামলা করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি।

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান।

তিনি জানান, উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের আগ্নিকাণ্ডটি ছিল উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ এই অগ্নিসংযোগ করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অগ্নিকাণ্ডের আগের দিন ওই ক্যাম্পে গোলাগুলি হয়েছে। মামলা করা হলে ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে কারা কিংবা কোন গ্রুপ এই অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতা করেছে। তখন জানা যাবে কারা এর জন্য দায়ী।

প্রতিবেদনে ঘটনার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি ১০টি সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে নানা প্রমাণপত্র হিসেবে ৭৪টি পৃষ্ঠা সংযুক্ত করা হয়েছে। তিন দিন ধরে তদন্তকালে তদন্ত কমিটি অনন্ত ৭৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। তদন্তকালে রোহিঙ্গারা বলেছেন, এটি পরিকল্পিত নাশকতা। এসব রোহিঙ্গারা যে সাক্ষ্য দিয়েছে তাতে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এবং ভিন্ন ভিন্ন নাম পাওয়া গেছে। এদের শনাক্ত করা কঠিন। তাই মামলার করার মাধ্যমে এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত জরুরি।

তদন্ত কমিটির প্রধান মো: আবু সুফিয়ান বলেন, গত ৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার পর ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৪/৫টি স্থানে আগুন লাগে। এটা নাশকতার প্রমাণ করে। অগ্নিকাণ্ডের আগের দিন ওই ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। আগুন রোহিঙ্গারা নেভাতে গেলে অনেকেই নিষেধ করেছে, তবে তা রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে। রোহিঙ্গাদের বলা হয়েছে, আগুন নেভানোর চেয়ে জীবন বাঁচানো জরুরি।

তদন্ত কমিটি জানায়, ওই দিনের আগুনে ২ হাজার ২০০ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। আর আহত হয় প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গা।

প্রতিবেদনে করা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রাস্তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলাচল করতে পারার মতো প্রশস্ত করা যেতে পারে। রাস্তার পাশে পানির চৌবাচ্চা তৈরি, শেল্টারে ত্রিপলের পরিবর্তে আগুন সহিঞ্চু কিছু ব্যবহার, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য পৃথক ফায়ার সার্ভিস ইউনিট গঠন, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে যতত্রত বাজার বসাতে না দেয়া এবং বড় রাস্তার ধার ছাড়া অন্য স্থানে দাহ্য পদার্থ আউটলেট করা থেকে বিরত, ঘনবসতিপূর্ণ ও অনেক স্থানে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে অগম্য বিবেচনায় ক্যাম্পের প্রবেশমুখে লে-আউট স্থাপন, আগুন লাগলে নেভানোর কাজে রোহিঙ্গাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা তৈরি। ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে ওয়ারলেস টাওয়ার স্থাপন ও ৩৬০ ডিগ্রি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, এক ক্যাম্প থেকে অপরাধ করে অন্য ক্যাম্পের পালানো রোধে প্রত্যেক ক্যাম্পে নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন করা।

প্রেস ব্রিফিংকালে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com