আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে নষ্টকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাব। বিদেশী কারো ফরমায়েশে চলবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। এ দেশে গণতন্ত্রের যত অর্জন ৭৫ পরবর্তী গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে তার অগ্রভাগে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মৃত ইস্যু উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশীদারিত্বমূলক। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের সাত দশকের ইতিহাস, এটাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না কিন্তু বার বার হত্যার রাজনীতির শিকার হয়। এটাই বাস্তবতা। আজকে বিএনপি কখন যে কী বলে! তাদের ভেতরে গণতন্ত্র নেই। সম্মেলন হয় না কতদিন তাদের। নিজেরাই কমিটি দেয়। তারা কিভাবে গণতন্ত্র শেখাবে আওয়ামী লীগকে? তাদের আমলে ভোটচুরির রেকর্ড হয়েছে, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল, ওয়ান ইলেভেনের জন্য এটা অন্যতম কারণ।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, যেকোনো দুর্যোগ, দুর্বিপাক কিংবা বিপদ-আপদ সবসময়ই মানুষের পাশে থাকে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকলেও পাশে থাকে। এজন্য বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগকে নিজেদের দল মনে করে।
সূত্র : বাসস