বাংলাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডাবল শিফটের পরিবর্তে এক শিফটে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষক অভিভাবকরা। এই নির্দেশনা ‘বাস্তবভিত্তিক নয়’ বলে তারা মনে করছেন।
শিক্ষা গবেষকরা সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও এর বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত ৪ জানুয়ারি শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক শিফট চালুর নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এক শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর। ক্লাসে পড়ানোর সময় বাড়াতে এ পরিকল্পনা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
কি আছে নির্দেশনায়?
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলার যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে দ্রুত এক শিফটে পাঠদান পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আবার যেসব স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক বা শ্রেণীকক্ষ নেই বা উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিকল্প একটি পরিকল্পনার কথা বলা হয় ওই নির্দেশনায়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সঙ্কটে থাকা স্কুলটির এক কিলোমিটার বা গ্রহণযোগ্য দূরত্বের মধ্যে যদি আরেকটি স্কুল থাকে তাহলে এমন দু’টি স্কুলে সমন্বিত উপায়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করতে হবে।
যেমন, দু’টি স্কুলের মাঝে শ্রেণি বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্কুলে এবং অন্যটিতে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।
এক্ষেত্রে পাশাপাশি দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করতে স্কুল দুটির ব্যবহারযোগ্য শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা, দূরত্ব, গ্রাম-শহরের বাস্তবতা, যাতায়াতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা, দুটি বিদ্যালয়ের মাঝের দূরত্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে পাঠদান পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
যেমন, কোনো স্কুলে যদি শিক্ষার্থীর অনুপাতে শ্রেণীকক্ষ বেশি থাকে, সেক্ষেত্রে পাশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের এই স্কুলে আনা হবে। আবার যে স্কুলে ভালো শিক্ষক আছেন, সেখানে শিক্ষক অদল-বদল করে শিখন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হবে।
যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, বাস্তবতা প্রশ্নবিদ্ধ
কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন না অভিভাবকরা।
এমন একজন হলেন ভোলার লালমোহন উপজেলার বাসিন্দা লিমা রহমান। তার ছেলে এ বছর শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে এবং স্কুলটি এতো বছর দু’শিফটে চলছিল।
তবে নতুন নির্দেশনায় সেখানে এক শিফটে চালু হলে ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় আছেন তিনি।
লিমা রহমান বলেন, আমাদের এখানে স্কুলগুলোয় এতো রুম নেই যে এক শিফটে সবার জায়গা হবে। এখন বলতেসে আরেকটা স্কুলে যাওয়া লাগতে পারে। এতোটুকু বাচ্চাকে নিয়ে এতদূর যাতায়াত করা তো কষ্ট। আমার খরচও তো বেড়ে যাবে। এইভাবে তো প্রতিদিন ক্লাস করাতে পারবো না।
তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই উদ্যোগকে ‘যুগোপযোগী’ বলেই মনে করছেন।
কারণ তাদের মতে দু’শিফটে ক্লাস নেয়া হলে শ্রেণীকক্ষে পড়ালেখা ও শেখার জন্য বেশি সময় পাওয়া যায় না। কারণ দু’শিফটে শিখন সময় কমে তিন ঘণ্টার মতো হয়।
কিন্তু সব ক্লাস এক শিফটে চলে আসলে প্রতিটি শ্রেণীতে ক্লাসের সময় গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ফলে টিচিং-লার্নিংয়ের সময় বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায় পড়ার চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে হাতে কলমে শিক্ষা, সেইসাথে নীতি-নৈতিকতা-মূল্যবোধ শিক্ষাও গুরুত্ব পাবে।
এই বিষয়গুলো বই পড়ে অর্জন করা যাবে না, এজন্য ক্লাসে যুক্ত থাকতে হবে বলে তারা মনে করছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলভিত্তিক কাজের দক্ষতা গড়ে তোলা, পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানো এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও এই সিঙ্গেল শিফট কাজে লাগবে বলা হচ্ছে।
কারণ, শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের আরো বেশি যুক্ত করতে ক্লাসে আসন বিন্যাসে পরিবর্তন আনার কথা রয়েছে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা যেমন আড়াআড়ি টেবিল ও বেঞ্চে বসে থাকেন। তবে এখন থেকে প্রাথমিকে গোল টেবিলের চারপাশে শিক্ষার্থীদের গ্রুপ করে বসানোর কথা বলা হচ্ছে।
উন্নত বিশ্বে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে উন্নত বিশ্বে পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক রয়েছে। বাংলাদেশে সেগুলো এখন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
তাই ‘যুগোপযোগী’ হলেও এই উদ্যোগ আদৌ কতোটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে সক্ষমতা অর্জন করে তারপর নির্দেশনা দেয়া উচিত ছিল বলে রাশেদা কে চৌধুরী জানান।
তবে পরীক্ষামূলক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে যেভাবে ধীরে ধীরে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে সেভাবে এক শিফট চালুর পাশাপাশি সমান তালে সক্ষমতা অর্জন জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।
মূলধারা থেকে ছিটকে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা
যেখানে শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে তার এক কিলোমিটারের মধ্যে অন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভাগাভাগি করে ক্লাস নেয়ার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবভিত্তিক নয় বলে মনে করেন শিক্ষক-অভিভাবকরা।
এক্ষেত্রে যেসব স্কুলে যথাযথ সংখ্যক শ্রেণীকক্ষ নেই বা শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে তারা বলছেন এই নির্দেশনা দেয়ার আগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন ছিল।
এ নিয়ে কথা হয় লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম কামাল উদ্দিনের সাথে।
তিনি বলছেন, সিদ্ধান্ত তো ভালো, কিন্তু এক শিফটে ক্লাস করানোর মতো শিক্ষক তো থাকতে হবে। উপজেলার অনেক স্কুলে দুইটা তিনটা ক্লাসরুম। তাদের কি হবে। এগুলো যদি আগে ব্যবস্থা করে রাখতো, তাহলে ঝামেলায় পড়তে হতো না।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভিভাবকরা, তাদের সন্তানদের সাধারণত আশেপাশের বিদ্যালয়ে ভর্তি করে থাকেন। যদি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীকে দূরের কোনো স্কুলে পাঠাতে হয় এতে অনেক অভিভাবক সন্তানকে স্কুলে দিতে নিরুৎসাহিত হবে, এতে বহু শিক্ষার্থী মূলধারার শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অভিভাবকরা হয়তো বাচ্চাদের অনেক দূরে পাঠাতে চাইবেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য ধারায় চলে যেতে পারেন। যাদের সক্ষমতা আছে তারা হয়তো বেসরকারি স্কুলে বা ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করতে পারেন। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তারা অবৈতনিক বা লিল্লা বোর্ডিংয়ে ধর্মীয় ধরায় চলে যেতে পারে।
মহানগর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সামাজিক বাস্তবতায় যে বিশাল পার্থক্য সেই বিষয়টি ওই নির্দেশনায় বিবেচনায় রাখা হয়নি বলে মনে করছেন রাশেদা কে চৌধুরী।
তিনি বলেন, শহরের মূল সমস্যা হলো শিক্ষকের অনুপাতে শিক্ষার্থী অনেক বেশি, কিন্তু শহরে কাছাকাছি এলাকায় অনেক স্কুল রয়েছে। কিন্তু গ্রামে বা চরাঞ্চলে শিক্ষকও অপ্রতুল আবার অবকাঠামোও নেই। অনেক এলাকা স্কুল যেতে কয়েক কিলোমিটার পথ চলতে হয়। তার মধ্যে বিদ্যালয়ের দূরত্ব আরো বেড়ে গেলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার।
কী প্রয়োজন, কী আছে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে আট হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার স্কুলে শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা তিন থেকে ছয়টির মধ্যে। আর ৬৩৩টি বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ রয়েছে দুই বা তারও কম।
এজন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণীকক্ষ না থাকা স্কুলের তথ্য বিশ্লেষণ ও দু’টি বিদ্যালয়ে দু’ভাগ করে এক শিফটে পাঠদান চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে অধিদফতরে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
এক্ষেত্রে, কাছাকাছি দূরত্বে থাকা দুটি বিদ্যালয়ের নাম, স্কুল দুটির শিক্ষক সংখ্যা, শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে যাতায়াতের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কিনা, দু’টি বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের যাবতীয় তথ্য আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে ই-মেইলে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অধিদফতরের নির্দেশ মানতে গেলে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক মিলিয়ে ছয়টি শ্রেণীর জন্য অন্তত ছয়টি শ্রেণীকক্ষের প্রয়োজন। সেইসাথে প্রতিটি ক্লাসের জন্য প্রয়োজন আলাদা শিক্ষকের। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকও আলাদা প্রয়োজন হতে পরে।
সেইসাথে এক শিফটে ক্লাস করাতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষকের। কারণ শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে তিনটি করে বিষয় পড়ানো হলেও পরের ক্লাসে বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম এই তিনটি শ্রেণীতে ছয়টি করে বিষয় রয়েছে। ফলে অপ্রতুল শিক্ষক দিয়ে এতোগুলো বিষয় পড়ানো রীতিমত অসম্ভব বলে শিক্ষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশে এখনো অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষকের পদ খালি পড়ে আছে। এই সঙ্কট নিয়েই এতদিন পাঠদান চলেছে। অনেক শিক্ষক নানান কারণে ছুটিতে থাকলে সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়।
এমন পরিস্থিতির এক শিফট চালুর নির্দেশনায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সঙ্কটে থাকা স্কুলগুলো।
এক্ষেত্রে শ্রেণীকক্ষ বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে দ্রুততম সময়ে স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণ, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষক সঙ্কট মোকাবিলায় ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলা হলেও এবং তারা বর্তমান শিক্ষাক্রম রপ্ত করতে কতোটা সক্ষম, সেটা যাচাই করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাশেদা কে চৌধুরী।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে শিক্ষক বাড়াতে হবে। অবকাঠামোও বাড়াতে হবে। নয়তো এক শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।
এমন বাস্তবতায় তড়িঘড়ি করে এক শিফট চালু করতে গিয়ে হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তিনি।
তার মতে, শুরুতেই নির্দেশনা না দিয়ে যদি পরীক্ষামূলক পাইলটিং করা হতো, তাহলে ভুল শোধরানোর সুযোগ থাকতো।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নির্দেশনা দেয়ার আগে যদি এই বিষয়গুলো সময় নিয়ে ভেবে বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলে এতো ঝামেলা হতো না। এখন আমাদের দরকার পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং সক্ষম শিক্ষক।
কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা বাবদ রাষ্ট্রের যে সীমিত বাজেট তার মধ্যে এতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন অল্প সময়ে সম্ভব কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি করাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি