মেট্রোরেলে কোনো হাফ ভাড়া নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মেট্রোরেল পাস নিলে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৫ সালে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে।
এদিকে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম এ মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ঠিক করেছে ৫ টাকা। গত ৮ সেপ্টেম্বর ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।
উত্তরা দিয়াবাড়ি (উত্তরা নর্থ স্টেশন) থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৬০ টাকা। উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা সাউথ স্টেশনে যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা দিতে হবে।
সিঙ্গেল জার্নি টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কাটা যায়, চাইলে ‘টিকিট বিক্রয় মেশিন’ থেকে নিজে নিজেও কাজটি সেরে ফেলা যায়। উত্তরা নর্থ থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা।
আর পল্লবী থেকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া একই, ২০ টাকা। পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা।
মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ধাপ চালু হলে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট যেতে গুনতে হবে ৩০ টাকা; আর কারওয়ান বাজার যেতে লাগবে ৪০ টাকা। মিরপুর–১০ স্টেশন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ৫০ টাকা, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যেতে লাগবে ৬০ টাকা। তবে মিরপুর-১০ থেকে কমলাপুর স্টেশনে যেতে লাগবে ৭০ টাকা ভাড়া।
তবে দীর্ঘমেয়াদি পাস নিলে ভাড়ায় ১০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএলকে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা ভাড়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।