সরকারের পতনের পর তাদের যে নিষ্ঠুরতার ইতিহাস হবে। আর কোনো দিন কেউ চেঙ্গিস খান, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না; বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর রায় বলেন, জনগণ যখন তার অধিকার আদায়ের সক্রিয় হয়, সাহসী হয়। আর বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। সেই জনগণকে কখনো থামিয়ে রাখা যায় না। এই শিক্ষাটা আপনাদের (সরকার) হওয়া উচিত।
‘আমরা হিটলারের গল্প শুনেছি, চেঙ্গিস খানের গল্প শুনেছি, পৃথিবীতে বহু স্বৈরাচারের গল্প শুনেছি। আমি জানি এই সরকারের পতনের পর তাদের যে নিষ্ঠুরতার ইতিহাস হবে। আর কোনো দিন কেউ চেঙ্গিস, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না। সুতরাং সবকিছুই সীমা আছে। সীমা লঙ্ঘন করলে ঈশ্বর নাকি ক্ষমা করেন না।’
আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের ভোটে নির্বাচিত না জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন আমরা যতটুকু করি না কেন! আমি জানি, আপনাদের যেতেই হবে। আমি এও বলতে পারি, আন্দোলন না করলেও আপনাদের যেতে হবে। আপনার যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নাই। সুতরাং যেতেই যখন হবে। সময় মতো ঘরে যান। এখনো সময় আছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলে যান, যা হওয়ার হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করেন। আমি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়াবো।
প্রতিবাদ সামাবেশে বিএসপিপি’র আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।