শুক্রবার, ১২:২৯ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বিএনপি কখনো চায়নি দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক: প্রধানমন্ত্রী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬৬ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সরকার কখনো চায়নি দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। কারণ তারা জানতো- দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে ভিক্ষা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। অন্য দেশের কাছে হাত পেতে চলাই ছিল অতীতের সরকারগুলোর নীতি।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বিরতণ অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। অনুষ্ঠানস্থলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশ খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল আমরা কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। কিন্তু আমাদের আগে যতগুলো সরকার ছিল তাদের সবার একটা বিষয় ছিল যে এটা না করে কিছু লোককে দিয়ে ব্যবসা করাবে, আমদানি করবে, সাহায্য নেবে। জিয়ার সরকার, এরশাদের সরকার, খালেদা জিয়ার সরকার সবার কথাই আমি বলছি। ৯৬ এ ক্ষমতায় এসে লক্ষ্য নিলাম আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে বন্যা হয় দেশে। তখন বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলেছিল, দুই কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। আমরা বলেছিলাম একজনও মারা যাবে না। ৬৯ দিন ছিল বন্যা। যেসব এলাকায় বন্যা ছিল না সবখানে ধানের চারা রোপণ শুরু করি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই এয়ারফোর্সের মাধ্যমে সবখানে বীজ পৌঁছে দেই। সেই বছরই প্রথম বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

আগের সরকারগুলোর মানসিকতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই বলতো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। খালেদা জিয়াও বলেছিল। তারা মনে করতো, স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে তো ভিক্ষা পাওয়া যাবে না। তবে আমি মনে করি, ভিক্ষা করে না, আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। নিজের মাটিতে উৎপাদন করে, আত্মনির্ভর হয়ে চলবো। নিজেদের মর্যাদা নিয়ে আমরা চলতে চাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন সরকারে আসি, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিনাসুদে বর্গাচাষিদের ঋণ দিতে শুরু করি। কৃষিঋণ সহজ করে দেই। ব্যাংক কৃষকের কাছে যাবে, কৃষককে ব্যাংকের কাছে আসতে হবে না এই ব্যবস্থা করে দেই।

প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষিখাতও ডিজিটাল করা হচ্ছে। কয়েকশ তথ্য কেন্দ্র করা হয়েছে। কৃষকরা মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তথ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়ে সমস্যার কথা জানাতে পারছেন, সমাধান পাচ্ছেন।

পেঁয়াজ, ভোজ্য তেলসহ যেসব কৃষিপণ্য এখনো আমদানি করতে হচ্ছে, সেগুলোর উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা করেছি। ২০২৪ সালের মধ্যে লক্ষ্য ঠিক করা আছে। আগে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট তৈরি হতো। এরপর আমরা পেঁয়াজ উৎপাদনে মনোযোগী হলাম। এখন পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থান দখল করেছি। এটা কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা দেখতে হবে। ভোজ্য তেল বাইরে থেকে আনতে হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কীভাবে করতে পারি সেটা দেখতে হবে। আমাদের মাটি এতো উর্বর। পরনির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com