ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দোকানে মোবাইল রাখাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এসময় তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চর গোলকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল ওই গ্রামের ইউনুস মণ্ডলের চায়ের দোকানে মোবাইল রেখে বাড়ি চলে যায় একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লা। পরে মোবাইল নিতে এলে ইউনুস তা নিজের বলে দাবি করে। এ নিয়ে ইউনুস ও ইউসুফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এর ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে গ্রাম্য মাতব্বর বাদশা মণ্ডলের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে আরেক মাতব্বর কুদ্দুস মোল্ল্যার সমর্থকের। এতে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আহত হয় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলো রাশেদ, মধু মণ্ডল, কোরবান মণ্ডল, রোকেয়া, শিপন মণ্ডল, শখি, সের আলী, আজাদ ও আজিজুল।
আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইউনুস মণ্ডল ও রাশেদ মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, চরগোলপ নগর গ্রামে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত আভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।