রবিবার, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বঙ্গমাতার নামে নির্মিত সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ বার পঠিত

পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বরিশালের সঙ্গে খুলনা বিভাগের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের দুয়ার খুলে গেল।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই মাস পর এ সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সেতুটি ঘিরে কচা নদীর দুই তীরের মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। বিশেষ করে সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর হলো।

এদিকে, সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নদীর পশ্চিম এবং পূর্বপাড়ে দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পশ্চিমপাড়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপাড়ে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরের এক জনসভায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

দৈর্ঘ্যের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৯৪ দশমিক ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৪৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেছে। চীন সরকার এ সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শেষ করে সেতু বিভাগের কাছে ৭ আগস্ট হস্তান্তর করে। সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর তীরে ২২০ মিটার দীর্ঘ এবং ৫৫ মিটার চওড়া একটি বিনোদন এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।

এ ছাড়া অ্যাপ্রোচ রোড সংলগ্ন ৬০ মিটার লম্বা ও ৫ মিটার চওড়া বিটুমিনাস রাস্তা এবং অ্যাপ্রোচ রোডের নিচে একটি ৬০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ মিটার চওড়া কংক্রিট রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সেতুর পূর্ব প্রান্তে এবং ১২০ মিটার দীর্ঘ ও ৩ দশমিক ৫০ মিটার চওড়া। পশ্চিম প্রান্তে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে ২২০ মিটার নদী শাসন করা হয়েছে।

চাইনিজ মেজর ব্রিজ রিকনেসেন্স অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চায়না রেল ওয়াচ ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড সেতুটি নির্মাণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com