মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যানচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দু’জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শনিবার (৪ মে) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭) ও তার মামী রাহেলা বেগম (৫৫)।

আহতরা হলেন- আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) ও প্রাইভেট কার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩২)।

জানা যায়, নিহতরা প্রাইভেটকারে করে ঢাকাই আসছিলেন। রাত দেড়টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে এলে পেছন থেকে একটি লরি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: হুমায়ুন কবির বলেন, লাশগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তেদের চেষ্টা চালছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকাগামী তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় আলমগীর হোসেনসহ ঘটনস্থলেই তিনজন মারা যান। এ দিকে, চালকসহ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন জানান, রাত আড়াইটার দিকে পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। আহত দু‘জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।