অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০৪:১৬ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

নিজের সমস্যায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না? প্রাচীন এই কৌশল কাজে লাগিয়ে দেখবেন নাকি

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৬ বার পঠিত

জীবনে সমস্যা থাকুক আর না থাকুক, প্রায় সবকিছু নিয়েই চিন্তা করতে হয়। তবে বাস্তববাদী এবং নিরপেক্ষ চিন্তা করাটা সত্যিই বেশ কঠিন। এ সমস্যা সমাধানে মনস্তত্ত্ববিদেরা দিয়েছেন নানা মত; সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর জুলিয়াস সিজার চর্চিত প্রাচীন এই পন্থা—এমনটাই দাবি করেছেন মনস্তত্ত্ববিষয়ক লেখক ও সাংবাদিক ডেভিড রবসন। তাঁর ব্যাখ্যা থেকেই আসুন জেনে নেওয়া যাক ইলিয়েজম পদ্ধতিতে বিজ্ঞের মতো চিন্তা করার উপায়।

রোমান সেনাপতি ও একনায়ক জুলিয়াস সিজার ৫৮-৫০ খ্রিষ্টাপূর্বাব্দের গ্যালিক যুদ্ধের কথা লেখার সময় ‘আমি বদলা নিয়েছি’ না লিখে লিখেছিলেন ‘সিজার বদলা নিয়েছে’। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মতে, শব্দের এই সামান্য পরিবর্তনের ফলে তার লেখাটি পড়ার সময় আরও বেশি ঐতিহাসিক এবং নিরপেক্ষ শুনিয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের নাম নিয়ে নিজেকে সম্বোধনের এই কৌশলকে বলে ইলিয়েজম।

নিজেকে নিজেই নাম ধরে সম্বোধনের বিষয়টি হঠাৎ শুনলে খানিকটা হাস্যকর লাগতে পারে। যারা এমনটি করে, তাদের নিয়ে অনেকে উপহাসও করেন। কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, সত্যিকার অর্থেই এই পদ্ধতির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজেকে তৃতীয় ব্যক্তির জায়গায় রেখে চিন্তা করলে আবেগ অনেকটাই প্রশমিত হয়ে যায়, নিরপেক্ষ হয়ে ভাবা যায়।

বিজ্ঞ ব্যক্তিরা কীভাবে চিন্তা করেন, তা নিয়ে হাজারো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে আলোচিত একটি গবেষণা হলো সোলেমানস প্যারাডক্স। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অধ্যাপক ইগর গ্রসম্যান ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই গবেষণার শিরোনাম রেখেছিলেন ‘বাইবেল’ বর্ণিত প্রাচীন রাজা সোলেমানের নামে। রাজ্যের সবাইকে বিজ্ঞ পরামর্শ দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন রাজা। তবে প্রজাদের সঠিক পরামর্শ দিলেও নিজের জীবনে কোনো সিদ্ধান্তই ঠিক নিতে পারেননি তিনি এবং শেষ পর্যন্ত রাজ্য ছেড়ে তাঁকে পালাতে হয়েছিল। গবেষণায় গ্রসম্যান দেখেন, মানুষ নিজের সমস্যার চেয়ে অন্যের সমস্যার প্রতি বেশি সংবেদনশীলভাবে যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এতে যাচাইয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যেকোনো ত্রুটিপূর্ণ চিন্তাভাবনা সূক্ষ্ম পরামর্শে পরিণত হতে পারে।

বিষয়টিকে সহজভাবে বুঝিয়ে ডেভিড রবসন লেখেন, ‘আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কঠিন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি; কিন্তু অন্যের একই সমস্যা সমাধান করার সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা পরামর্শ দেওয়া সহজ মনে হয়। পুরো ব্যাপারটি ঘটে আবেগের জন্য। নিজেকে নিয়ে ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশি আবেগপ্রবণ হয়। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নিজেকে তৃতীয় ব্যক্তির জায়গায় রেখে চিন্তা করলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।’

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com