অন্য ভাষায় :
শনিবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

থাপ্পড় মেরে ছাত্রীর কানের পর্দা ফাটানো সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৩ বার পঠিত
যশোর জেলা-যুগান্তর

যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে থাপ্পড় মেরে কান ফাটানোর অভিযোগে সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, গত রোববার দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি ঝাটা এনে দিতে এবং আরেক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন।
তবে পান্না ঝাটা নিয়ে এসে সেখানে রাখলেও অন্য শিক্ষার্থী ঝাড়ু দেয়নি। ঝাড়ু না দেওয়ায় পান্নাকে ডেকে শিক্ষক নার্গিস বলেন, ঝাড়ু দিসনি ঝাটা দিয়ে তোর মুখ ভেঙে দেব। তখন পান্না বলে, আপনি কি আমার মুখ বানিয়ে দিয়েছেন? ঝাটা দিয়ে ভেঙে দেবেন? তখন শিক্ষক নার্গিস মেয়েটির বাম কানে তিনটি থাপ্পড় মারেন।

এ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে নার্গিস পারভীন তাকে আরও কয়েকটি থাপ্পড় মেরে বলেন, লাগেনি। অভিনয় করছে। পরে মেয়েটি বাড়ি গিয়ে না বললেও পরদিন সন্ধ্যার দিকে মেয়ের গায়ে জ্বর এবং কানে যন্ত্রণার কথা শুনে তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাতে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এ সময় ৫ম ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকরা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেন ও নারগিস পারভীন প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের কারণে-অকারণে মারধর করেন এবং প্রধান শিক্ষকসহ ওই দুই সহকারী শিক্ষক অশ্লীল ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com