আজ থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র ইবাদতের মাস। প্রথম রোজা ভালোভাবে পালন করতে যে যার সাধ্যমতো কিনছেন বিভিন্ন রকমের ফলমূল। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। সুযোগ বুঝে যে যেভাবে পারে দাম নিচ্ছে। অসহায় ক্রেতারাও পণ্য কিনছে তাদের চাহিদামূল্যে। রমজান শুরুর আগের রাতেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
গতকাল প্রথম তারাবির নামাজের আগে ও পরে শহরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে প্রতি হালি মানিক কলার দাম ২৫ থেকে ৫০ টাকা, সাগর কলার দাম ৩০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। যে কলার হালি নামাজের আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, সেই কলার হালি নামাজের পর বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দাম বৃদ্ধির এমন অস্থিরতায় ইফতারির তালিকায় কলা রাখার ইচ্ছে মিটে গেছে অনেক ক্রেতার। রমজান মাসে কলার চাহিদা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো। কলা বুঝে হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। ফলে এই কলা কিনতে গিয়েই অনেকই হিমশিম খাচ্ছেন।
সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেটে কলা কিনতে আসা বাবু ডালি নামের এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে কলার দাম শুনে গেছি প্রতি হালি ৩০ টাকা। নামাজ শেষ করে কলা কিনে বাড়ি যাব ভেবে নামাজের পর এসে দাম শুনি প্রতি হালি ৫০ টাকা। নামাজের ব্যবধানেই প্রতি হালিতে ২০ টাকা বেড়ে গেল, এটা কি ভাবে মেনে নেওয়া যায়?
ফিরোজ হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গতকাল যে কলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি কিনেছি সে কলা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রোজার কারণে কলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়িয়েছে এসব ব্যবসায়ীরা।
একাধিক কলা বিক্রেতা বলেন, কলার আড়তে দাম বাড়ার কারণে আমরা বেশি দামে কলা কিনছি। যার কারণে কলা বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। তবে নামাজের আগে কলার দাম ৩০ টাকা থাকলেও নামাজের পড় কলার দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা অস্বীকার করে বলেন, দাম আরও আগেই বেড়েছে।