অন্য ভাষায় :
রবিবার, ০৫:৪২ অপরাহ্ন, ০৫ মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

গভীর রাতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ দ্বিগুণ প্রার্থী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২ বার পঠিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার দুপুরের প্রকাশিত ফলাফলের চেয়ে সংশোধিত ফলাফলে প্রায় দ্বিগুণ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় ভাইভা পাস করা নিয়ে শঙ্কায় আছেন প্রার্থীরা
গতকাল রোববার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭ জন। গভীর রাতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জনে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট -তে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মুঠোফোনেও মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।

দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়। এ নিয়ে প্রার্থীরা অভিযোগও করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়নের কাজ শুরু করে আইআইসিটি ও বুয়েটের কারিগরি দল। এরপর রাতে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সংশোধিত ফলাফলে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা বেশির ভাগই মেঘনা ও যমুনা সেটের প্রার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের চাকরির গ্রুপগুলোতে অনেকে এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

মো. শহীদুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেঘনা সেটে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। দুপুরের ফলাফলে আমার রোল ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সংশোধিত ফলাফলে আমি পাস করেছি। তবে দ্বিগুণ প্রার্থী পাস করানো হয়েছে। ভাইভায় গণহারে ফেল করানো হতে পারে। কারণ, এত শূন্য পদই নেই।’

সঞ্জয় বিশ্বাস নামের আরেকজন প্রার্থী বলেন, তৃতীয় ধাপে মেঘনা ও যমুনা সেটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ছিল। এ সেটে যাঁরা পাস করেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ৬০-৬৫ পেয়েছেন বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন দেখলাম। প্রশ্ন কঠিন হয়েছিল, সাধারণত এত বেশি নম্বর পাওয়ার কথা না। আর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে তৃতীয় ধাপে দ্বিগুণ প্রার্থী টেকানো হলো বিতর্ক এড়াতে মনে হয়।

প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।

তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মার্চ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। গত ১৪ মার্চ এ নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com