অন্য ভাষায় :
রবিবার, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, ১৯ মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

আমার টাকা আমি পাঠাব কিভাবে পাঠাব সেটা আমার ব্যাক্তিগত এক্তিয়ার

মিজানুর রহমান মুন্সী (ইতালি)
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১০৫ বার পঠিত
বাংলাদেশের প্রায় বৈধ অবৈধ মিলিয়ে পোনে দুই কোটি লোক আমরা প্রবাসে থাকি। আমাদের অর্জিত উপর্জন দেশে পাঠিয়ে পরিবারের চাহিদা পুরন করি। বৈদেশিক মুদ্রাকে টাকায় রুপান্তরিত করে সরকারি ব্যাবস্থাপনায় প্রবাসিদের পরিবারে দেয়ার দায়িত্ত্ব রাষ্ট্রের। সরকার তার পলিসি বন্দবস্ত সুন্দর করলে রাষ্ট্র যেমন লাভবান হবে তেমন আমরা প্রবাসিরা এবং দেশে থাকা পরিবারগুলোও ভাল থাকবে। সেখানে সি আই ডি কর্মকর্তার বক্তব্য যা আমাদের ব্যাথিত করেছে। বাংলাদেশে বিকাশ রকেট সহ যে সকল মানি সার্ভিজ চালু আছে আর তার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সকল মুদ্রা আমরা ট্রান্সফার করি তা অবৈধ না কারন ;
,১ বিকাশ কিংবা অন্য কোন মোনলবাইল সার্ভিসিং এ পাচ দশ হাজারের বেশী কেউ দেশে পাঠায় না কারন বেশী দিলে যে পাঠায় তার লস।
২,সে ক্ষেত্রে যে বিকাশ ব্যাবসায় জরিত সে একজন বাংলাদেশী প্রবাসি, তিনি বিকাশ মাধ্যমে যে টাকা সংগ্রহ করেন ( দশ পাচ হাজার করে) তা সে ব্যাংক মাধ্যমে বৈধভাবেই দেশে পাঠায়। প্রবাশে কেউ টাকা জমা রাখে না। ৯৯% প্রবাসি বিদেশ আসে তার পরিবারকে সচ্ছল রাখার জন্য। তাই টাকা যে করেই হোক দেশে দিতেই হয়।প্রবাসে যারাই আছে তাদের টাকা পাঠাবার কতগুলো নিতিমালা এ সকল দেশেও আছে যে কারনে লিমিট ক্রস করলে এ সকল দেশেও কৈফত দিতে হয়।
সরকার প্রবাসিদের টাকা বৈধ ভাবে নিতে পলিসি গ্রহনে জোর দিতে হবে সি আইডি তদন্তে নয় কারন সি আইডি তদন্তে হয়রানির স্বীকার হবে কারন বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন বিতর্কিত তারা প্রবাসিদের বেশী হয়রানি করবে। এ জন্য সরকারী ব্যাংক এর বেশী বেশি প্রবাসে এজেন্ট দিতে হবে সেখানে বন্ড ক্রয়ের জন্য নানা অফশন দিতে হবে যাতে নিরাপদে প্রবাসিরা তাদের অর্জিত উপর্জন সরকারী ব্যাংক এ গচ্ছিত রাখতে পারে।
প্রাইভেট যে সব ব্যাংক এজেন্ট ব্যাবসায় জরিত তাদের সিন্ডিকেট এর জন্য সরকার তার ব্যাংক এজেন্ট প্রসারিত করতে পারে না আর সে ব্যার্থতার দায় ভার বিদেশে থাকা প্রবাসিদের ঘারে চাপিয়ে লাভ নেই।
সুষ্ঠ বিনিয়গ ব্যাবস্থায় সরকারের পলিসি নিতে হবে ;
প্রবাসে থাকা লোকেরা দেশে বিনিয়োগ করে কিছু করতে চায় কিন্তু নিরাপদের অবাভে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে না। আমাদের প্রবাসিদের বিনিয়গে১০০% নিরাপদ দিতে পারলে আমরা বিদেশে বিনিয়োগ না করে দেশে বিনিয়োগ করব। আর এ নিরাপত্তা দিলে বর্তমানে যে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রবেশ করে তার দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সি আইডি দিয়ে প্রবাসির টাকা কন্ট্রল করে হয়রানি করে লাভ নেই বরং রাজনৈতিক গুরুদের আয়ের অর্থ সচ্ছতায় নিয়ে আসেন। আমরা প্রবাসিরা কামলা দিয়ে দেশে টাকা পাঠাই আর দুই শ্রেনীর লোকেরা তা বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করে সেই জায়গাতে সি আই ডিকে কাজ করতে হবে।
১,রাজনৈতিক গুরু এবং সরকারী আমলাদের আয়কে সচ্ছতার মধ্য আনতে হবে। কারন দেশের অর্থ পাচার এরাই করে থাকে।
২, এদেশে স্বাধিনতার পর আজ অবধি সবচেয়ে হিন্দুরা বেশী টাকা ইন্ডিয়াতে অবৈধ ভাবে পাচার করেছে। তাদের পুজার ঘটি বাটি বিক্রি করে তারা ইন্ডিয়াতে টাকা পাচারের মাধ্যমে বসবাস করছে। ইন্ডিয়াতে বসবাস করা হিন্দুদের একজনেও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা যে তারা এ দেশের টাকা ইন্ডিয়াতে বৈধভাবে নিয়েছে।তা হলে আজ পর্যন্ত সরকার এ নিয়ে কিংবা সরকারী কোন সংস্থা এ নিয়ে কথা বলছে বলে জানা নেই।
বাংলাদেধে যতগুকো হিন্দু লোক বড় ছোট কর্মকর্তা প্রায় প্রত্যেকেই ইন্ডিয়াতে সম্পদ গরছে। সম্পদ গরতেই পারে সেটা বিষয় নয় কিন্তু বাংলাদেশের অর্জিত টাকা যেমন ইন্ডিয়াতে পাচার করছে তেমন ইন্ডিয়ার সরকারকেও ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত করছে। এ দেশে যারা বিদেশী চাকুরীরত তাদের ইনকামের একটা নিদৃষ্ট টাকা এ দেশে ব্যয় করতে হবে সেই নীতিমালা করা হোক। যাতে এ দেশের টাকা আয় করে সব তাদের দেশে নিয়ে যাবে আমার দেশে ব্যয় করবে না এ নিয়মের পরিবর্তন না আনলে সি আইডিদের দ্বারা আমরা হয়রানি হব আর সঠিক ব্যাবস্থাপনায় তারা কাজ করবেনা তা ঠিক না।
আমরা প্রবাসিরা রাস্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে সবচেয়ে সততার সাথে অবদান রাখি আর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে অবহেলিত। আমরা আমাদের এয়ারপোর্ট এ একটু সন্মান আর দুতাবাসে হয়রানি মুক্ত সার্ভিস চাই। এ দুটো জিনিষ রাষ্ট্রের জন্য সামান্য তাও দিতে ব্যার্থ।
আমাদের সন্মান নিরাপত্তা দিন বিনিয়োগ আমরা দেশে করব যা অর্থনীতিতে গুরুত্ত্ব ভুমিকা রাখবে।
সরকারী ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংক বিদেশে বেশী বেশী চালু করুন দেখবেন আমরা দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর পরিবর্তন করে দিব।
দেশের আমলা সরকারী কর্মকর্তার তাজনৈতিক গুরুদের আয়ের সচ্ছতার জন্য বিশেষ কমিশন করেন এবং কার্য্যকারী ভুমিকা পালন করেন সব ঠিক হয়ে যাবে। সি আই ডি দিয়ে নয় প্রবাসিদের হয়রানি করে নয়।
প্রবাস ইতালি থেকে আন্তর্জাতিক সমাজ – মানবাধিকার কর্মী

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com