টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করছে ক্রিকেট দলগুলো। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আরব আমিরাতের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলছে টিম টাইগার্স। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ রানে জয় পেয়েছে সোহানের দল। মেহেদী হাসান মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ের পথ সহজ হয় বাংলাদেশের। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের ২ বল বাকি থাকতে সব উইকেট হারিয়ে আরব আমিরাতের সংগ্রহ ১৫১ রান।
রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিরিজের প্রথম ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হয়। এদিন টসে জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আরব আমিরাতের অধিনায়ক চুনদাঙ্গাপৌলি রিজওয়ান। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজের নেতৃত্বে দিচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান।
টসে হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৫৮ রান। আফিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ভালোই শুরু করে আরব আমিরাত। পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। দলীয় ২৭ রানে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ঝুলিতে নেন ১৫ রান।
ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ফেরেন চিরাগ সুরি। ৮ম ওভারে যখন তিনি সুরি ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ৬৬ রান। মূলত এরপর থেকে ধারাবাহিক উইকেট হারায় দলটি।
দলীয় ৭৭ রানে আরিয়ান লাকরা (১৯) ফিরলে আর উইকেটে থিতু হতে পারেননি কোনো ব্যাটার। যদিও আইয়ান আফজাল খানের ব্যাটে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে দলটি। তবে তার ২৫ রানের ইনিংসটি শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছে।
এদিন অধিনায়ক চুনদাঙ্গাপৌলি রিজওয়ান, বাসিল হামিদ, জাওয়ার ফরিদ ও সাবির আলী পার করতে পারেননি দুইয়ের কোটা। তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ৫, ২, ২ ও ০ রান।
এর আগে বাংলাদেশ টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও আফিফ-সোহানের জুটিতে বাংলাদেশ পায় চালেঞ্জিং স্কোর। আফিফ অধিনায়ক সোহানকে সাথে নিয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি ১৫৮-এ থামে কোনো উইকেট না হারিয়ে। ৫৫ বলে ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ৭৭ রানের এক কার্যকরি ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন।
আফিফকে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি অধিনায়ক নিজের কাজটাও সেরেছেন ভালোভাবে। ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন উইকেট কিপার ব্যাটার।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রান হলেও ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন টাইগার হিটার সাব্বির।
দ্বিতীয় ওভারে সাব্বিরের পর তৃতীয় ওভারে ফেরেন লিটন দাস। ২ ওভার ৫ বলে ফেরেন তিনি। ৮ বলে ৩ চারে তার সংগ্রহ ১৩ রান।
দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। জাওয়ার ফরিদের বলে তার হাতেই তালু বন্দি হন মিরাজ। তার সংগ্রহ ১৪ বল খেলে ১২ রান।
ব্যটিং ব্যর্থ হয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও। তিনি খেলেছেন মাত্র ৭ বল। কার্তিক মেইয়াপানের করা বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মন্থর গতিতে ব্যটিং চালিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টায় ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ও শরিফুল নেন ৩টি করে ইউকেট। এছাড়া মোস্তাফিজের সংগ্রহ ২ উইকেট।
আরব আমিরাতের হয়ে কার্তিক মেইয়াপান নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়াও জাওয়ার ফরিদ, আইয়ান আফজাল খান, ও সাবির আলী নেন একটি করে উইকেট।