সোমবার, ০৮:৪১ অপরাহ্ন, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোনো ধর্মের ওপর হস্তক্ষেপ করা যাবে না: জামায়াত আমির স্বর্ণজয়ী শুটার সাদিয়া সুলতানা মারা গেছেন সার্কের পুনরুজ্জীবনে আরো কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার দেশের আকাশে কালো শকুন ও কালো মেঘ ঘোরাফেরা করছে, আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে-জামায়াত আমির ডা. সফিকুর রহমান সিরীয় সংঘাতে এবার রাশিয়া-তুরস্ক মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসির তেঁতুলিয়ায় সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণার রায় স্থগিত চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ ‘নারী পোশাক’ নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানাল জামায়াত

সূরা ইখলাসের ফজিলত

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৮ বার পঠিত

আল-কুরআন। মানবজীবনের সংবিধান। হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। দোজাহানে সফলতার চাবিকাঠি। পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় আল্লাহ তায়ালা সুনিপুণভাবে তাঁর নিজ সত্তার পরিচয় তুলে ধরেছেন। যেমন- আয়াতুল কুরসি, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। তেমনি সূরা ইখলাসেও তিনি তার একত্ববাদ, মহত্ত্ব ও বড়ত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা নবীজী সা:-কে সম্বোধন করে বলেন- ‘আপনি বলুন- ১. তিনিই আল্লাহ, একক/অদ্বিতীয়; ২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন; ৩. তার কোনো সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন; ৪. এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে সূরা ইখলাস পাঠের বহু গুরুত্ব ও ফজিলত। সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ : হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, নবী সা: তাঁর সাহাবিদের বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা সাধ্যাতীত মনে করো?’ এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা: আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে এটি পারবে? তখন তিনি বললেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি-৫০১৫) এ সম্পর্কে আরো একটি হাদিস। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (তিরমিজি-২৮৯৯)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভ : সহিহ বুখারির কিতাবুত তাওহিদে হজরত আয়শা রা: থেকে বর্ণিত আছে- আল্লাহর রাসূল সা: এক সাহাবির নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করলেন। তারা ফিরে এসে নবীজী সা:-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! যাকে আপনি আমাদের নেতা মনোনীত করেছেন তিনি প্রতি সালাতে কিরাতের শেষে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। রাসূল সা: তাদেরকে বললেন, ‘সে কেন এমন করত তা কি তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছ?’ তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, এ সূরায় আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে, এ কারণে এ সূরা পড়তে আমি খুব ভালোবাসি। এ কথা শুনে রাসূল সা: বললেন, ‘তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন।’ (ফাতহুল বারি-১৩/৩৬০)

সূরা ইখলাস পাঠে জান্নাত : আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে ‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ’ পাঠ করতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে।’ আমি প্রশ্ন করলাম, কী ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। (তিরমিজি-২৮৯৭)

লেখক :

  • আবরার নাঈম

শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম, ময়মনসিংহ সদর

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com