শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা এবার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কথা ভাবছে। তারা মনে করছে, বিক্রমাসিংহে আসলে রাজাপাকসেদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফলে তার অপসারণ না হলে তাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে না।
রোববার ছিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের ১০০তম দিবস। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
তাদের আন্দোলনের ফলেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে এবং তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর আগে তার ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাদের অপঃশাসনের ফলেই শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
শ্রীলঙ্কায় এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ফেসবুক, টুইটার, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমযোগে। এই আন্দোলন জাতিভেদে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কাকে ঐক্যবদ্ধ করে। বৌদ্ধদের পাশাপাশি মুসলিম ও তামিলারাও এতে শরিক হয়।
৯ এপ্রিল তাদের আন্দোলন সূচনা হয়েছিল বলা যায়। ওই দিন ডাক দেয়া হয়েছিল দু’দিনের বিক্ষোভের। তাতে আয়োজকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক লোক উপস্থিত হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা এখন মনে করছেন, রাজাপাকসেদের প্রতিনিধিত্বই করছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। রাজাপাকসেদের দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। তাদের সমর্থন নিয়ে তিনি সহজেই প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন।
এ প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভকারীদের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, আমরা এখন আমাদের আন্দোলনকে রনিল বিক্রমাসিংহের বিরদ্ধে পরিচালনা করা নিয়ে ভাবছি।
তবে বিক্রমাসিংহেও হুংকার দিয়েছেন। তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ জুলাই নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্লামেন্টের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া