পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে বিল আনছে ইসরাইলের জোট সরকার। আগামী সপ্তাহেই বিলটি আনা হবে বলে সরকারের এক সদস্য জানিয়েছেন। যদি বিলটি পাস হয় তবে ফের ভোট হবে ইসরাইলে। আর তা হবে তিন বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন।
এক বিবৃতিতে জোটের দুই শীর্ষস্থানীয় শরিক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিদ জোটকে স্থিতিশীল করার সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে একটি বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, যদি বিলটি পাস হয় তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন ইয়ার ল্যাপিদ। জুলাই মাসে ইসরাইল সফরে আসছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ল্যাপিদই তাকে স্বাগত জানাবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
বারো মাস আগে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছর শাসনের অবসানের পর গত বছর ইসরাইলে সরকার গড়ে একাধিক দলের জোট। আটটি ভিন্ন মতাদর্শগত দলের এই জোটে যেমন বামপন্থীরা ছিল, তেমন-ই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী দলও, ছিল বেনেত এবং ল্যাপিদের মতো মধ্যপন্থীদের দলও। আবার একটি আরব দলও ছিল এতে। এই ধরনের জোট ইসরাইলের ইতিহাসে প্রথম।
কিন্তু এপ্রিল মাসে বেনেতের দল ইয়ামিনা পার্টির একজন সদস্য বেরিয়ে আসার পরই ১২০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় জোট। তার পর আরো কয়েকটি দল জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোটের মধ্যেও মতপ্রার্থক্য তীব্র হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি জোট ভেঙে দেয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নাফতালি। তাই পার্লামেন্টে বিল এনে তা ভেঙে দেয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোট নেতৃত্ব।
নতুন নির্বাচন হলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী লিকুদ পার্টি আবারো একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে তিনি পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করতে পারবেন কিনা তা অস্পষ্ট।
নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, আমার মনে হয়, বাতাস বদলাচ্ছে। আমি অনুভব করছি।
সূত্র : আলজাজিরা ও আনন্দবাজার পত্রিকা