টাকার অভাবে বাজার থেকে কেউ হাতে ফিরছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘দ্রব্যমূল্যে অস্থিরতা : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক যুগান্তরের পঁচিশ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। যুগান্তরের প্রকাশক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) রিসার্চ ফেলো ড. বদরুন্নেসা আহমেদ।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে কখনো নজরদারি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজারের একটা সাপ্লাই চেইন আছে। এ সাপ্লাই চেইনে উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রত্যেকে যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি পণ্যগুলো হার্ভেস্টিংয়ের সময় বেশি উৎপাদন হয়। তারপর ৩-৪ মাস উৎপাদন হয় না। এসময় যদি আপনি এটাকে গুদামজাত না করেন… গুদামজাত করা ও মজুদদারি এ দুটির মধ্যে যদি পার্থক্য নির্ধারণ না করতে পারি বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইভাবে আমদানি পণ্য আমরা যদি সিজনে না কিনে অফ-সিজনে কিনি আমাদের বেশি দাম দিতে হবে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘তেল এবং চিনি এ দুটি আমরা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানির ওপর নির্ভরশীল থেকে আমাদের মতো একটা দেশে ১৭ কোটি মানুষকে আমদানি করে সরবরাহ করা বেশ কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে কিন্তু যে পণ্য আমাদের ঢুকতেছে তা অবিক্রীত থাকছে না। কেউ কিন্তু আবার খালি হাতে ফিরছে না। এ দেশে কিন্তু দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যের সংকট ছিল। বাজারে টাকা দিলেও খাদ্য পাওয়া যেত না। সেখান থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। আমাদের কিন্তু এখন চাল আমদানি করতে হয় না। মানুষের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা আছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম। এতে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে ছিলেন বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরী, ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।