অন্য ভাষায় :
বুধবার, ০৪:২৩ অপরাহ্ন, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

দু’টি রূপের মিশ্রণের জেরেই কি এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল পূর্বপরিচিত অ্যাডিনোভাইরাস?

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫২ বার পঠিত

মিউটেশন হয়ে অ্যাডিনোভাইরাসের নতুন কোনো প্রজাতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দু’টি স্ট্রেন বা সেরোটাইপের মিশ্রণের ফলে তৈরি হয়েছে ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’। এ বারের ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে তা কতটা দায়ী, জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এদিকে, শহর থেকে জেলা, হাসপাতালে সর্বত্রই বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা।

জানা যায়, পরিচিত ‘অ্যাডিনোভাইরাস’ কেন এতটা ভোগাচ্ছে, তা জানতে ৪০টির মতো নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিল নাইসেড। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভাইরাসের দু’টি স্ট্রেন ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিশে থাকার বিষয়টি।

নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, ‘আগেও রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু তখন সংখ্যায় কম থাকলেও এবার অধিকাংশই তাতে আক্রান্ত। এই রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের মধ্যে অ্যাডিনো-৭ সেরোটাইপ আগেও ছিল। এর সাথে মিশেছে অন্য সেরোটাইপ।’

তিনি জানান, দু’টি সেরোটাইপ মিশ্রিত ভাইরাস কতটা ভয়াবহ, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

ভাইরোলজিস্ট সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, মানুষের অ্যাডিনোভাইরাসের সাতটি (এ থেকে জি পর্যন্ত) প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৮ প্রকার (সেরোটাইপ বা স্ট্রেন) অ্যাডিনোভাইরাসের খোঁজ মিলেছে।

তিনি জানান, ‘অ্যাডিনোভাইরাস’ শ্বাসনালি তথা ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রদাহ ছাড়াও পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালি তথা রেচনতন্ত্র এবং চোখের নজাংটিভা-র সংক্রমণ ও প্রদাহে পটু। তবে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ মূলত ঘটায় অ্যাডিনো ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৭ সেরোটাইপ।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনও পাঠানো হচ্ছে। এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জানান, ‘পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে। পৌরসভাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।’

সোমবার মেয়র-পরিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে বহু শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জানুয়ারি থেকে এ দিন পর্যন্ত ভাইরাল নিউমোনিয়া নিয়ে পিকু-তে ভর্তি ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। তার মধ্যে জানুয়ারিতে তিন ও চলতি মাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com