অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

চালের দাম ৪ টাকা বাড়ে কোন যুক্তিতে, প্রশ্ন বাণিজ্যমন্ত্রীর

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২
  • ৬৭ বার পঠিত

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চালের মূল্য প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা বাড়তে পারে। কিন্তু কেজিতে ইতোমধ্যে দাম বেড়েছে ৪ টাকা। এ নিয়ে কিছুটা বিস্মিত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কেজিতে এত টাকা দাম বাড়ার কোনো যুক্তি আছে? কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ নিচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীরা যখন সুযোগ নেন, একেবারেই নেন।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। টিসিবির নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল— চাল-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে? জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, রাতারাতি দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আমি তো জানি না পুতিন সাহেব (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, আমরা স্বীকার করছি। প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। আশা করছি, অক্টোবরের মধ্যে দাম সহনীয় হয়ে আসবে।

ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম কত এবং ডলারের দাম বিশ্লেষণ করে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে সম্প্রতি টিআইবি যে গবেষণা করেছে, সেখানে তথ্যের যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। গবেষণায় সঠিক তথ্য উঠে আসেনি বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

১১ আগস্ট টিআইবির প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, সাড়ে ৩৯ শতাংশ মানুষ ফ্যামিলি কার্ড পাননি। উত্তরদাতাদের ৮০ শতাংশ বলেছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তারা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৪৭ জনের ওপর জরিপটি করেছে। এত কমসংখ্যাক মানুষ দিয়ে সত্যিকারের তথ্য উঠে আসার কথা নয়।

মন্ত্রী বলেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ কার্ড তৈরি হয়েছে। বাকি পাঁচ লাখ কার্ড বাকি আছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে তিন লাখ। বাকি দেড় লাখ ঢাকার বাইরে। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com