অন্য ভাষায় :
বৃহস্পতিবার, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

এডিসি ও সাবেক দেহরক্ষীর আত্মহত্যা, জন্ম দিয়েছে প্রশ্নের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
  • ৭৫ বার পঠিত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) লাবনী আক্তারের (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়ালিদাহ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে লাবনীর ছোট ভাই হাসনাত আজম বলেন, ময়নাতদন্তের পর রাতে লাশ হস্তান্তর করে মাগুরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর দাফন সম্পন্ন করা হয়। আপুর মৃত্যুতে আব্বু-আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, এডিসি লাবনীর আত্মহত্যার ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এডিসি লাবনী ও তার সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) আত্মহত্যার ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। কারণ পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান মাগুরায় আসার আগে এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাত্র দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন তিনি।

লাবনী মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের বরালিদহ গ্রামের খন্দকার শফিকুল আজমের মেয়ে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, বর্তমানে ভারতে চিকিৎসা নিতে গেছেন। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে নানার বাড়িতে বুধবার রাতে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

অন্যদিকে কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের এজাজুল হকের ছেলে। কুষ্টিয়া শহরের দাদাপুর রোডের নতুন কমলাপুর এলাকায় শুভেচ্ছা ভিলা নামে একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে তাদের। প্রায় তিন বছর আগে মাহমুদুল পুলিশে যোগদান করেন।

এদিকে এডিসি লাবনীর আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুলও কেন আত্মহত্যা করেছে? তাদের দুজনের এই আত্মহত্যার নেপথ্যে অন্য কি কারণ থাকতে পারে? এসব বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে তাদের এমন মৃত্যু নিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জেলাজুড়ে।

মাহমুদুল হাসানের বোন সুমাইরা খাতুন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা লাবনীর সাথে আমার ভাইয়ের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক ছিল। লাবনীর সাথে আমার ভাইয়ের অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না।

এ প্রসঙ্গে মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়েছিল। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি লাবনীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com