ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলে জাতিগত হামলায় অন্তত ২৩০ জন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের বেশির ভাগই আমহারা জাতিগত গ্রুপের সদস্য। হামলার জন্য ওরোমো লিবারেশন আর্মিকে (ওএলএ) দায়ী করা হচ্ছে।
দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যঅ ২৩০-এর বেশি হবে। ওরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকার হামলার কথা স্বীকার করলেও হতাহতের কোনো সংখ্যা দেননি। এ ব্যাপারে আদ্দিস আবাবার কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গিমবি কাউন্টির অধিবাসী আবদুল-সাইদ তাহির বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, আমি ২৩০টি লাশ গুণেছি। আমার জীবনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এর চেয়ে ভয়াবহ হামলা আর দেখিনি। তিনি অল্পের জন্য শনিবারের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা নিহতদেরকে গণকবরে দাফন করেছি। আমরা এখানে লাশ খুঁজছি। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন, আবারো হামলা হয়ে থাকতে পারে।
শামবেল নামের অপর প্রত্যক্ষদর্শীও আবারো হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পুনঃবসতি স্থাপনের একটি কর্মসূচির আওতায় জাতিগত আমহারারা এই এলাকায় বসতি স্থাপন করে। তারা এখন ’মুরগির মতো হত্যা’ করছে।
আবুল হাসান নামের একজন বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার নিহত হয়েছে। কাউকে রেহাই দেয়া হয়নি।’ তিনি ঘটনাস্থলে না থাকায় রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, তিনি প্রায় ৩০০ লাশ পাওয়ার কথা শুনেছেন। দুটি গ্রামের লাশ এখনো সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এর আগে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদ হামলার কথা জানান। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
হামলার জন্য ওএলএকে দায়ী করা হলেও তাদের মুখপাত্র আদা তারবি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। বরং সরকারই হামলা চালিয়ে তাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
ইথিওপিয়ায় কয়েক বছর ধরেই জাতিগত সহিংসতা চলছে।
সূত্র : আলজাজিরা