অন্য ভাষায় :
বুধবার, ০৭:১৬ অপরাহ্ন, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ইউএনও ও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মামলা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ৬১ বার পঠিত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদস্যসচিব ও উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিবাদী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েও পুকুর লিজ না পাওয়ার অভিযোগে এ মামলা করেন এরশাদ হোসেন নামের এক কৃষক।

মামলার বাদী এরশাদ হোসেন উপজেলার আখি ঘটনা বাজনাপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। তিনি চলতি বছরের গত ২৮ জুন দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর- ৭৪/২০২২।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুখুরী মৌজার ২৬/৯৮-৯৯ নং ভিপি কেসের ১/১ খতিয়ানে ১১৪০ নং দাগে তিন একর ৬৫ শতক একটি পুকুরে সরকারি নিয়মানুসারে লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছেন এরশোদ। লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৮ মে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিমা আক্তার জাহান পুনরায় পুকুরটি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৩১ মে এরশাদ আবারও পুকুরটি লিজের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডাককারী হিসেবে অংশ নেন। সেখানে তার সঙ্গে ডাকে অংশ নিয়ে সবুজ ও মাজহারুল নামের দুজন পুকুরটির ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০টাকা দর দেওয়ার ডাক দেন। একইসাথে অপর ডাককারী জোতিষ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দরে ডাক দেন। এসময় এরশাদ  ২ লাখ ১১ হাজার টাকা দর দিয়ে ডাক দেওয়ায় তিনি সর্বচ্চ ডাককারী হিসেবে নির্বাচিত হন।

এরশাদ হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে নির্বাচিত হলেও ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অজ্ঞাত কারণে তার কাছে সরকারি ডাকের টাকা নিতে গড়িমসি করে। একপর্যায়ে তার থেকে কম দরদাতা জোতিষকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় পুকুরটি লিজ দিয়েছেন তারা। ফলে তিনি ইউএনও রিয়াজ উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিমা আক্তার জাহানকে বিবাদী করে দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এরশাদ হোসেন বলেন, একটি প্রভাবশালী মহলের ইশারায় ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাকে তার পুকুর থেকে বেদখল করার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করে বলেন, বর্তমানে ওই পুকুরে তার ২ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মাছ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শামিমা আক্তারের সাথে কথা বলতে তার অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার অফিসিয়াল ফোন নম্বরে বারবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আদালতে মামলা দায়ের হওয়ায় পুকুরের লিজ সংক্রান্ত কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আদালতের রায়ের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কাজ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com