গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘জুলাই সনদের ওপর আলাদা গণভোট আয়োজন সম্ভব না। এটি তিন-চার মাস আগে হলে সম্ভব ছিল। এখনকার বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য। কোনো অজুহাতে এই নির্বাচন ভণ্ডুল হোক, জাতি তা চায় না। গণভোট আর নির্বাচন একই দিনে দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ। এটিই এই মুহূর্তে বাস্তবসম্মত।’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে অনেক ভিন্নমত ছিল। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সব সংশয় অনেকটাই কেটে গেছে। তিনি সবার মতামতকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা রইল না। এটি এখন বানচাল হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজনের কারণে।’
নুর বলেন, ‘ভোট পেতে আওয়ামী তোষামোদে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। আপনাদের ইমান আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার। এ বিষয়ে আপনাদের পরিষ্কার হতে হবে তথাকথিত লকডাউনে প্রশাসন ফরিদপুরসহ অনেক জায়গায় আমাদের আশাহত করেছে। এমন হলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘বড় রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব বেশি। প্রত্যেক দলের প্রার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা করতে পারে, তা নিশ্চিত হতে হবে।’
নুরুল হক বলেন, ‘সরকার নির্বাচনি ট্র্যাকে আছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারকে সহায়তা করতে হবে। তা না হলে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামীর নতুন বাংলাদেশের পক্ষে এবং জুলাই সনদের পক্ষে ভোট চাইতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের বৈধতার স্বার্থে এটি দরকার।’
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন না হলে চব্বিশ আসত না, এই পরিবর্তন হতো না। বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা লাগত না। আপনারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুণ। আমাদের অবমূল্যায়ন করলে, জাতি এটা মেনে নিবে না। আপনাদের আগের মতো দলকানা হলে হবে না।’