রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে ভোটকেন্দ্রে এই অভিযোগ ওঠে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তারা ভোট দেওয়ার পর বাইরে এসে হাতে ঘষা দেওয়ার পরপরই ব্যবহৃত অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে।
ভোট প্রদান শেষ জুবায়ের নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছিলেন, তারা দেশের বাইরে থেকে কালি আমদানি করেছেন, যাতে কালি উঠে না যায়। কিন্তু আমি ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উঠে গেল।’
শিবির-সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, তারা যে কালি ব্যবহার করবে তা উঠবে না। কিন্তু এখানে ভোট দিতে এসে এই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করেছি।’
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশ পরিষদের সদস্য অধ্যাপক কাওছার আলী বলেন, ‘আমরা তা শোনার পর দায়িত্বরত পুলিং এজেন্টদের নির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন হাতের আঙুলে কালি ৫ সেকেন্ড ধরে রাখে। পাশাপাশি ভোটার বের হওয়ার আগে যেন আবার তা চেক করে।’