ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল। তবে সেই দাপুটে অভিযাত্রা থেমে গেল শেষ আটেই। শুক্রবার রাতে ফ্লোরিডায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। আর এই জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফ্লুমিনেন্স।
ম্যাচ শুরুর আগে স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভাকে শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলো, যা ছুঁয়ে যায় উপস্থিত সবার হৃদয়।
মাঠের খেলায় যদিও বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল আল হিলাল, কিন্তু ফলটা গেল উল্টো পথে। ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে তারা নিয়েছিল ১৫টি শট, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। ফ্লুমিনেন্সের ছিল ১০ শট, এর মধ্যে ৩টি লক্ষ্যে এবং ২টি পরিণত হয় গোলে।
প্রথমার্ধে সতর্ক শুরু করে দুই দল। যদিও আল হিলাল তুলনামূলক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল, গোলের দেখা পায় ফ্লুমিনেন্স। ৪০ মিনিটে মাথেউস মার্তিনেল্লির দারুণ গোলে লিড নেয় ব্রাজিলিয়ান দলটি এবং সেই ব্যবধানে বিরতিতে যায় তারা।
বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় আল হিলাল। মার্কোস লিওনার্দোর গোলে ১-১ সমতায় ফিরে আসে সৌদি জায়ান্টরা। তবে ৭০ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হারকিউলিসের গোলে আবারও পিছিয়ে পড়ে তারা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করলেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি আল হিলাল।
ফ্লুমিনেন্সের এই জয় ক্লাবটির জন্য শুধু একটি ম্যাচজয় নয়, বরং বিশ্বকাপ মঞ্চে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের আরেকটি প্রমাণ শক্তিরও বার্তা।