দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ মেথড অনুযায়ী সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ রয়েছে ২৫ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারে নামে। এরপর আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ডলার যোগ হলে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর এশীয় ক্লিয়ারিং উইনিয়নের (আকু) বিল ও অন্যান্য আমদানি দায় পরিশোধ করলে রিজার্ভ কমতে থাকে।
২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ফলে ধারাবাহিকভাবে তা কমতে থাকে।
ডলারের সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ২০২১ সাল নাগাদ আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রতি ডলারের জন্য ১২২-১২৩ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এ মূল্যতেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ডলার পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা।