সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্সের শক্তিশালী গেমিং ফোন হট ৩০। তরুণ গেমারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে ডিজাইন করা হয়েছে এই ফোন। এর ফিচারগুলোর মধ্যে আছে শক্তিশালী প্রসেসর, হাই-ডেফিনিশন স্ক্রিন এবং উন্নত গেমিং প্রযুক্তি। এর ফলে গেমিংয়ে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
প্রসেসর: হট ৩০ ফোনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলোর একটি হলো এর শক্তিশালী হেলিও জি৮৮ প্রসেসর। গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা স্বচ্ছন্দ ও দ্রুত করতে এই প্রসেসরের সুনাম আছে। এর ৮-কোর আর্কিটেকচার ডিজাইনে আছে সর্বোচ্চ ২.০ গিগাহার্জ-এর দু’টি শক্তিশালী এআরএম কর্টেক্স-এ৭৫ কোর। এর ফলে এই ফোনে দ্রুত লোডিংটাইম, পাওয়ার অপটিমাইজেশন এবং ১৮টি পর্যন্ত অ্যাপ একইসাথে চালানোর সুবিধা পাওয়া যাবে। আর বেশিরভাগ তরুণদের জন্যই বর্তমানে মাল্টিটাস্কিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর শক্তিশালী প্রসেসর নিয়ে হট ৩০ হতে পারে মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য একটি আদর্শফোন।
ব্যাটারি: হট ৩০ ফোনের ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি চলতে পারে সারাদিন। ৫% চার্জেও এইফোন ২ ঘণ্টা পর্যন্ত পারফর্ম করতে পারে। গেমারদের জন্য এটি অনেক বড় একটি ব্যাপার। এখন ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা ছাড়াই তারা প্রিয় গেম খেলে যেতে পারবেন। এ ছাড়াও, এর ৩৩ ওয়াট ফাস্টচার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যেফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫৫% পর্যন্ত চার্জ হতেপারে। এর ফলে ফোনকে খুব বেশিক্ষণ দূরে রাখতে হবে না।
ডিসপ্লে: হট ৩০ ফোনে আছে ১০৮০পি হাই রেজোলিউশনের ৬.৭৮ ইঞ্চি পার ফোরেটেডস্ক্রিন, ৯০ হার্জ হাইরিফ্রেশরেট এবং ২৭০ হার্জ টাচস্যাম্পলিংরেট। ফলেমাইক্রো-অপারেশনের জন্য সময়মতো টাচরেসপন্স পাবেন গেমাররা। এ ছাড়াও সিনেমা অথবা টিভিশো স্ট্রিম করার জন্যও এই স্ক্রিন আদর্শ।
ক্যামেরা: ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্যও হট ৩০ একটি ভালো ফোন হতে পারে। এতে আছে এফ ১.৬ অ্যাপারচারসম্পন্ন ৫০-মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরালেন্স, এর ফলে লাইটইনটেক বৃদ্ধিপায়। আরও আছে একটিমাল্টি-ফ্রেম ওভারলে অ্যালগরিদম, যা রাতের ছবির মান উন্নত করে এবং বিভিন্ন ধরনের নাইটফিল্টার ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে। এর ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা সেলফি তোলার জন্য যথেষ্ট।
হট ৩০ ফোনটি বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ টেক রিভিউয়াররা। এই ফোনের রিয়েল লাইফ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এএফআর টেকনোলজিস জানিয়েছে, “দাম বিবেচনায় এইফোনটির ডিসপ্লে, প্রসেসর ও ব্যাটারি অনেক উন্নতমানের।” ফোনটির বক্স ডিজাইন ও তাদের পছন্দ হয়েছে, তবে ফোনের ক্যামেরা আর ও ভালো হতে পারতো বলে মনে করেন তারা।
এই ফোনে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে লিংক বুমিং প্রযুক্তি। এর ফলে ওয়াই-ফাই এবং ফোনের ডেটা একসাথে কাজ করে। তাই গেমিং হতে পারে নির্ঝঞ্ঝাট। হট ৩০ এর ৪+১২৮ জিবিএবং ৮+১২৮ জিবি-র দু’টি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে রেসিংব্ল্যাক, সনিকহোয়াইট ও সার্ফিংগ্রিন- এই তিনটির ঙয়ে।
সব মিলিয়ে, হট ৩০ তরুণদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা চমৎকার একটি গেমিং ফোন। এর দাম শুরু হয়েছে ১৪,৯৯৯ টাকা থেকে। ফোনটির শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং উন্নত গেমিং প্রযুক্তির ফলে ব্যবহারকারীদের গেমিং অভিজ্ঞতা আরও ভালো হওয়ার আশা করা যায়। মাল্টিটাস্কিং, স্ট্রিমিং ও ছবি তোলার জন্যও এই ফোনটি দারুণ কাজ করে। ফলে ব্যস্তজীবন কাটানো তরুণদের জন্য এটি একটি অসাধারণ অল-রাউন্ডার ফোন। এ ছাড়াও মূল্য বিবেচনায় হট ৩০ ফোনটি সাশ্রয়ী। ফলে সাশ্রয়ীমূল্যে উন্নত মোবাইল ফোন যারা খুঁজছেন, তাদের জন্যহট ৩০ হতে পারে প্রথমপছন্দ।