সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা হলেন—নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালি থানাধীন এলাকার মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের আল আমিন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার শালিখার আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের মো. রিয়াজ, মো. সেলিম, কুমিল্লার লাকসামের দেলোয়ার হোসাইন, নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, একই এলাকার মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান ও যশোর সদরের মো. মোশাররফ হোসাইন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে যারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন আবদুল হাই, রানা, হোসাইন আলী ও কুদ্দুস।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনু বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, বাসে মোট ৪৭ ওমরাহ যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই বাংলাদেশি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের আভা জেলায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হন। বিকাল ৪টার দিকে আগাবত শার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আভা জেলায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ওমরাহ যাত্রীদের নিয়ে রুবা আল হিজাজ পরিবহণ কোম্পানির একটি বাস সন্ধ্যায় মক্কার উদ্দেশে যাচ্ছিল।