অন্য ভাষায় :
শুক্রবার, ০১:০৭ অপরাহ্ন, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

হাদিসুরের পরিবারকে আজ সাড়ে ৪ কোটি টাকার চেক দেয়া হবে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
  • ৭৩ বার পঠিত

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রাশিয়ার রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিএসসি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদিসুরের পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি এমভি বাংলার সমৃদ্ধির অন্য ২৮ কর্মকর্তা ও নাবিককেও তাদের র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।

বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিএসসি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেককে চেক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

গত ২০ মে মেরিনারদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) প্রায় সোয়া ১০ লাখ টাকার অর্থসহায়তা প্রদান করে হাদিসুরের পরিবারকে।

বিএমএমওএ সভাপতি ক্যাপ্টেন মোঃ আনাম চৌধুরী বুধবার রাতে বলেন, ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ক্যাপ্টেন হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি) চেক দেবে বিএসসি। তাছাড়া জাহাজটির অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের তাদের স্ব স্ব র‌্যাঙ্ক অনুযায়ী সাত মাসের সমপরিমাণ বেতনের চেক দেয়া হবে।

জানা যায়, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি।

পরে গত বুধবার ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর ৫ মার্চ হাদিসুরের লাশ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে অলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বের করে মালদোভা হয়ে ৬ মার্চ রোমানিয়া নেয়া হয়।। ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। ১৪ মার্চ হাদিসুর রহমানের লাশ দেশে আনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com