রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সরকার তাঁকে স্তব্ধ করে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মহিলা দলের বিক্ষোভ সমাবেশে আজ বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশের সুচিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টন থেকে মৌন মিছিল বের করে মহিলা দল। পরে কার্যালয়ের সামনে পুলিশি বাধায় সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই জানি—খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। আজকে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। কেন সরকার তাঁকে বিদেশে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলে। কিন্তু আইনের মধ্যেই বলা আছে সরকার চাইলেই তাঁকে এই মুহূর্তে বিদেশে পাঠাতে পারে। বাধা আইন নয়। বাধা হচ্ছে এই অবৈধ সরকার। আজকে খালেদা জিয়াকে তারা স্তব্ধ করে দিতে চায়। তারা খালেদা জিয়াকে কথা বলতে দিতে চায় না।’
মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের এখানে বক্তব্য দিলে হবে না। সারা দেশে ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের মা-বোনদের জাগিয়ে তুলতে হবে। সমস্ত মানুষকে একত্রিত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ দেশের যে স্বাধীনতাগুলো আমরা অর্জন করেছিলাম ১৯৭১ সালে। আজকে সেই স্বাধীনতাগুলো আওয়ামী লীগ সরকার লুট করে নিয়েছে। শুধুমাত্র তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরকে জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, আমাদের মা-বোনেরা যেভাবে সংগ্রাম করেছেন, আজকে আবার দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তেমনই সংগ্রাম করতে হবে। এ সময় মহিলা দলের মিছিলে পুলিশি বাধার প্রতিবাদও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, নিলুফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।