অন্য ভাষায় :
শনিবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১২৮ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহবান জানিয়ে বলেছেন, আইন নয়, মানসিকতার পরিবর্তনই নারীর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধ করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা আমাদের জন্য পীড়াদায়ক তা হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন করেছি। কিন্তু, শুধু আইন করল্ইে এ সব বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য মানসিকতাও বদলাতে হবে। চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন আনতে হবে এবং বিশ্বাসটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস।’

শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে ‘বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন’ এবং ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বিশ্বাসটা করতে হবে যে, নারীরা কেবল ভোগের বস্তু নয়, নারীরা সহযোদ্ধা। তাঁরা সহযোগী, সহযাত্রায় চলতে হবে, সমান অধিকার দিতে হবে-এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সেভাবেই কাজ করতে হবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আজ শিক্ষায়-দীক্ষায় কর্মসংস্থানে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করতে পারছে বলেই তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে।”

সরকার প্রধান বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই আমাদের দেশের নারী সমাজকে জাগ্রত করতে হবে।”

কেননা, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী কাজেই তাদের পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এটা জাতির পিতা যেমন মনে করতেন তেমনি বেগম রোকেয়াও তাঁর লেখনিতে বলে গেছেন।

নারীদের বেশি লেখাপড়া শিখিয়ে কী হবে তারাতো পরের ঘরে চলে যাবে-এ ধরণের মানসিকতা আমাদের সমাজে বিদ্যমান ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সে কারণেই জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করে তাঁর সরকার নারীদের অর্থনৈতিক সাবলম্বীতা নিশ্চিত করার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফহিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

নারী শিক্ষায় কুমিল্লার অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যশোরের অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা এবং পল্লী উন্নয়নে কুষ্টিয়ার গবেষক সারিয়া সুলতানা এ বছরের বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন।

পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেকে রেপ্লিকাসহ স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র এবং নগদ অর্থের চেক পেয়েছেন। পরে বিজয়ীদের পক্ষে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে আজকের দিনটি তাঁর কন্যা এবং বাংলাদেশের অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন উল্লেখ করে সকলের কাছে তাঁর জন্য দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “পুতুলের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই আজ অটিজম আক্রান্তরা সমাজের মূলধারার সঙ্গে মিশে যেতে পারছে, স্বীকৃতি পেয়েছে। অটিজম শিশুদের কোন মা-বাবাই লোক লজ্জার ভয়ে এখন আর লুকিয়ে রাখেন না। সেই মানসিকতারও পরিবর্তন এসেছে।”
সূত্র : বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com