অন্য ভাষায় :
শনিবার, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

দন্তচিকিৎসক বুলবুল হত্যা : মূল আসামি গ্রেফতার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
  • ৯৮ বার পঠিত

ঢাকায় দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যার মূল আসামি পেশাদার ছিনতাইকারী মোঃ রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অভিযান চালিয়ে রিপনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে ডিবি।

গত ২৭ মার্চ ভোরে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। এই হত্যার ঘটনায় এ নিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।

ডিবির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, এই হত্যার ঘটনায় আগে গ্রেফতার ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে রিপনের নাম আসে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন রিপন। তিনি ছিনতাইকারী দলটির নেতা।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বুলবুলকে হত্যার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে ছিলেন। তার বাড়ি ওই এলাকায়।

ডিসি মানস কুমার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছেন, বুলবুলের সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে তারা পাঁচজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। বুলবুলের সাথে ১২ হাজার টাকা ছিল।

বুলবুল হত্যায় আগে গ্রেফতার চারজন হলেন আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয় (৩৯), সোলায়মান (২৩), রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল (২৭) ও রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫)।

হৃদয় ও সোলায়মান ইতোমধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি অনুযায়ী, তারা পাঁচজন গত ২৬ মার্চ দিবাগত রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বুলবুল যখন রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে আসেন, তখন তারা তার গতিরোধ করেন। এ সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলেন। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেন রিপন।

ডিবি পুলিশের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় বুলবুল রাস্তায় পড়ে থাকেন। স্থানীয় লোকজনসহ বিহঙ্গ পরিবহনের বাসচালক আসিফ ও চালকের সহকারী সাগর মিলে বুলবুলকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

বুলবুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় গত ৩০ মার্চ চার আসামিকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরদিন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com