সারাদেশেই স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। ফলে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তাপদাহ পরিস্থিতি।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে এক সময় রাজশাহী খুলনা ও রংপুর বিভাগেই তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হতো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন সারাদেশেই তাপ প্রবাহ ছড়াচ্ছে। তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। তাপদাহে অতীষ্ঠ মানুষ। সারাদেশেই স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা থাকায় গরমের তীব্রতাও বেশি। সেই সঙ্গে আদ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তিও বেশি।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে রাজধানীতে। অতিরিক্ত গরমে বেহাল শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র গরমে কাজের মাঝেই মাঝে মাঝে জিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। রাজধানী জুড়ে অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সূর্যের তাপ শোষণ করার ব্যবস্থা নেই। এতে প্রতি বছরই বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। পারদে যা থাকে তার চাইতে অনুভূত হয় বেশি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বায়ুমন্ডলের নিম্নভাগে জলীয় বাস্পের জোগান বেশি হচ্ছে। দক্ষিণের বাতাস অবস্থান করছে সাগরে। দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হলে লঘু চাপ অনেক বেশি শক্তি সঞ্চয় করে। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, এপ্রিল-মে মাসে বেশি তাপমাত্রা অনুভব হতো রাজশাহী, খুলনা আর রংপুর বিভাগে। সম্প্রতি তাপ প্রবাহ প্রবণ এলাকার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা, চট্রগ্রাম বরিশাল বিভাগও এখন তাপপ্রবাহ এলাকায় পরিণত হচ্ছে। এমনি কি সিলেটেও তাপদাহ দেখা যাচ্ছে, যা আগে ছিলো না। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণণায়নই এর কারন। সারাদিন সূর্য যে তাপ বিকরণ করে সারাদেশে গাছপালা, নদী, আর উন্মুক্ত স্থান কমে যাওয়ায় রাতে সেই তাপ নিষ্ক্রিয় হতে পারছে না। ফলে রাতেও গরম কমছে না।
আগামী ২৯ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে তীব্র তাপদাহ বিরাজ করবে। এরপর বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।