বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর এলিফেন্ট রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আজ সন্ধ্যায় এ্যানীর ভাই হ্যাপি চৌধুরীর বরাত দিয়ে
চাকুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাখির মতো গুলি করে গণহত্যা করা হলো, যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তাদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ বিবৃতিতে দলটি এই সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ’শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বহাল রাখতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিলের রায়ের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের’ প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এই
গতকাল দিনভর পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের
কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের পদত্যাগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন নেতা ছাত্রলীগ ছেড়েছেন। গতকাল
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের স্মরণে আজ বুধবার দুপুরে সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা তো সরকারই বাতিল করেছিল। এখন আবারো আদালতকে ব্যবহার করে একটা
দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের সবসময় সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত, যাতে করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা গর্ববোধ করতে পারেন।