বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।গত শুক্রবার গাজীপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে আসরের নামাজ বাদ পারিবারিকভাবে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। নিজের বিয়ে নিয়ে অবশেষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সারজিস।
গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। শুক্রবার আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মসজিদে বাদ আসর ছোট পরিসরে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়।’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে সারজিস আরও লিখেছেন, ‘যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দুআ করেছেন; আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পারিবারিকভাবে ছোট পরিসরে হওয়ায় কাছের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীকে বলতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে সুবিধাজনক সময়ে কিছুটা বড় পরিসরে একসাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা আছে। আমাদের জন্য দুআ করবেন।’
এর আগে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে সারজিসের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এরপরই সারজিস বরগুনায় বিয়ে করেছেন লিখে পোস্ট দিতে শুরু করেন বরগুনার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানা গেছে, সারজিসের শ্বশুরবাড়ি বরগুনা। তার স্ত্রীর নাম রাইতা। তিনি একজন পবিত্র কোরআনের হাফেজা। তিনি সব সময় পর্দা মেনে চলেন।
এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলমের স্ত্রী হাফেজা রাইতা সবার বড়। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামের ব্যারিস্টার লুৎফর রহমানের মেয়ে।
আরও জানা গেছে, সারজিসের শ্বশুর ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান বর্তমানে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য, সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলম বড়। তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।