বৃহস্পতিবার, ০৫:০৫ অপরাহ্ন, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭ জন ঢামেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক চলছে ‘আ.লীগকে পুনর্বাসন করতে হলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে করতে হবে’ ভারত তার দেশের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে : পাকিস্তান টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুনীতিগ্রস্ত’ বললেন ইলন মাস্ক প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে বিএনপি আজকেই টাকা না দিলে দুর্বার রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিল ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’র মিছিলে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শেখ হাসিনার স্লোগান লেখা নিষিদ্ধ প্যাড ব্যবহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক বরখাস্ত

৮০০০ কোটি টাকা চেয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি বিউবোর

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির অর্থ ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। সম্প্রতি বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন বিউবোর সচিব রাশেদুল হক প্রধান। চিঠির অনুলিপি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

চিঠিতে বলা হয়েছে- আসন্ন রমজান এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক কেন্দ্রগুলোয় সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, আমদানি করা বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ, ইসিএস ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে অপরিশোধিত বিল পরিশোধের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে ভর্তুকির অর্থ ছাড় করতে হবে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদার মেটানো এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিউবো দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে বাল্ক কনজ্যুমারের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। এতে বিউবোর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতির টাকা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করে আসছে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরসহ সরকারের রাজস্ব বাজেটে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ে ঘাটতি ২৭ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ইতিমধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে। ফলে এখনও ২৬ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়- সম্প্রতি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের অপর্যাপ্ততায় আসন্ন রমজান, সেচ এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য বকেয়া ২৬ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার মধ্যে থেকে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অপর্যাপ্ততায় কয়লা ও তরল জ¦ালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় জ¦ালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে আসন্ন রমজান, সেচ এবং গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ব্যাহত হতে পারে। এ জন্য আলোচ্য সময়ে জ¦ালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ আবশ্যক। এ ছাড়া ইসিএ অর্থায়নে নির্মিত বিউবোর দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইসিএ ঋণের কিস্তি জানুয়ারি মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে বিদ্যমান ঋণসমূহ কনসার্ন ক্রেডিট হিসেবে গণ্য হবে। এতে বিউবোর ভাবমুর্তি ক্ষুণœ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিকে ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com