কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলা এবং সাড়ে তিন শতাধিক চর ও দ্বীপের মানুষ শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতজনিত নানান রোগে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর ভীড়। বিশেষ করে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাসহ নয়টি উপজেলার একই অবস্থা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিকেল থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক, শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না।
কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের কৃষক ওয়াদুদ মণ্ডল জানান, কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেলে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এক হাজার ৮০০টি কম্বল ও ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কম্বল কিনে তা বিতরণ করা হচ্ছে। আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।