রবিবার, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিব গ্রেফতার বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার করল সেনাবাহিনী পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে জোরদার হচ্ছে অভিযান আইসিউতে মুশফিক ফারহান সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি ফ্যাসিবাদের ঘৃণাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আগামী সোমবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট শতবর্ষী জিমি কার্টার মারা গেছেন

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭ বার পঠিত

শান্তিতে নোবেলজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার (১০০) মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জিমি কার্টার সেন্টার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

তথ্যমতে, জিমি কার্টারই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার ১০০তম জন্মদিনে পৌঁছেছিলেন।

কার্টার যখন ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, তখন তিনি ‘জনগণের মতো ভালো সরকার’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

চারটি উত্তাল বছর তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব তার প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে । তিনি মিসর ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি চুক্তি এবং পানামা খাল চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক নীতিতে সফলতা দেখান। ইরানে একটি বন্দী সঙ্কট হোয়াইট হাউজে তার শেষ বছরগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে এবং ১৯৮০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয়ের পেছনে তা একটি কারণ বলে বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু কার্টার বলতে পছন্দ করতেন, ১৯৮১ সালে তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সমাপ্তি ছিল একটি নতুন জীবনের সূচনা, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই, আশা জাগিয়ে তোলা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে বিশ্ব ভ্রমণ।

কার্টার সেন্টারের প্রধান হিসেবে, কার্টারস ৮০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ করেছেন সমস্যাকবলিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, বিরোধের মধ্যস্থতা এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। হোয়াইট হাউজ-পরবর্তী তার এই সক্রিয় জীবন অবশেষে ২০০২ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দেয়।

কার্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার প্লেইন্সের ছোট্ট শহরে। তিনি সেখানে ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর কার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।

তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার সাংসদ হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কার্টার একজন ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান ক্ষমতাসীন জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন।
সূত্র : ভিওএ ও অন্যান্য

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com