মেঘনা নদীতে জাহাজে সাত খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেফতার জাহাজের কর্মচারী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
দুর্ব্যবহার এবং দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা ও ছুটি না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে প্রথমে জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে এবং পরে তথ্যফাঁসের ভয়ে বাকি ছয়জনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ইরফান।
বুধবার কুমিল্লা র্যাব ১১-এর মেজর সাকিব হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, জাহাজের মাস্টারের ওপর থাকা ক্ষোভের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে র্যাবকে জানিয়েছেন গ্রেফতার ইরফান।
সোমবার চাঁদপুরে হাইমচরের মাঝিরচর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা নামক সারবাহী একটি জাহাজে সাত খুনের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরো একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
র্যাব জানিয়েছে, বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান ওই জাহাজে একজন লস্কর হিসেবে চাকরি করতেন।
আকাশ মণ্ডলের দেয়া তথ্যের বরাতে মেজর সাকিব হোসেন বলেন, জাহাজের মাস্টারের ওপর ‘পূর্বের ক্ষোভের কারণেই’ খাবারের সাথে ‘চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
তিনি বলেন, ‘তার (আকাশ মণ্ডল) উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের মাস্টারকে হত্যা করা এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর যখন সে বুঝতে পারে যে সে পালিয়ে গেলে অন্যান্য ক্রুরা তার সম্বন্ধে তথ্য দিয়ে দেবে, তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে ক্রমান্বয়ে বাকি সদস্যদেরকে হত্যার চেষ্টা করে।’
গত ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে থেমে থাকা ওই জাহাজে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনা ঘটে। পরদিন, অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে এ বিষয়ক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার দিন প্রথমে ওই জাহাজ থেকে পাঁচজনের লাশ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আরো তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর র্যাব থেকে আলাদা করে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে একটি। সেখানে আকাশ মণ্ডলের ক্ষোভের কারণ বা যুক্তির আরো কিছু বর্ণনা আছে।
সূত্র : বিবিসি