বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার আড়াই বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কলকাতার আলিপুর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পি কে হালদার বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না, পরে সব জানাব।’ এরপর একটি গাড়িতে চড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
শুক্রবার কলকাতার একটি আদালত ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে শর্ত সাপেক্ষে পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে। সোমবার আদালতে বন্ড জমা পড়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান। তার সঙ্গে মুক্তি পান সহযোগী উত্তম মৈত্র। তবে স্বপন মিত্র নামে অপর সহযোগী নথি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কারাগার থেকে মুক্তি পাননি।
২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটে একটি হোটেল থেকে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়।
পি কে হালদার বাংলাদেশে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের ও ভুয়া নামে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গত বছরের অক্টোবরে তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের জামিন সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে অন্যতম আলোচিত এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারতের আর্থিক খাতের সংহতি ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।