হাইতিতে একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল পুনরায় চালু করার ঘোষণা দেয়ার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সময়ই সাংবাদিক, পুলিশ এবং মেডিক্যাল স্টাফদের ওপর গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের জেনারেল হাসপাতালে এ হামলা চালানো হয়। এতে বহু মানুষ আহত হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে হাসপাতাল ভবনের ভেতরে অনেকেই আহত বা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
শহরটির বেশিভাগ এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই হিংসাত্মক গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু গত জুলাই মাসে হাইতি সরকার এটি পুনরুদ্ধার করে।
শহরটির বেশিভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী হিংসাত্মক গ্যাং দ্বারা দখল ও ধ্বংস করার পরে জুলাই মাসে হাইতির সরকার এই সাইটটি পুনরুদ্ধার করে।
ঘটনার দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্য সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই গোলাগুলি শুরু হয়। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় দুই সাংবাদিক এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় হাইতির প্রেসিডেন্ট ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার, বিশেষ করে হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং সাংবাদিক সমিতির প্রতি আমাদের সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী ফটোসাংবাদিক ডিউগো আন্দ্রে হাইতিয়ান টাইমসকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটি একটি ভয়ানক চলচ্চিত্রের মতো অনুভূত হয়েছিল। আমার পোশাকে আহত বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের রক্ত লেগে আছে।’
ভিভ আনসানম গ্যাংয়ের সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এক ভিডিও বার্তায় হাইতির প্রেসিডেন্ট ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার, বিশেষ করে হাইতির জাতীয় পুলিশ এবং সাংবাদিক সমিতির প্রতি আমাদের সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
গত এপ্রিলে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর ছয় মাস আগে কেনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরেও হাইতির জনগণকে বিভিন্ন গ্যাংয়ের সহিংসতার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার পর থেকেই হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা বেড়ে গেছে। রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ এখনও গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হাইতিতে চলতি বছর সহিংসতায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
সূত্র : বিবিসি