বুধবার, ০৭:৪০ অপরাহ্ন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭ বার পঠিত

দুদকের একটি দুর্নীতির মামলায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া গ্রেপ্তার দেখানোর এই আদেশ দেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অংশগ্রহণ করেছেন মর্মে জানা যায়। তাই এই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে তাকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন রয়েছে।

ইসমাইল হোসেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর মানিলন্ডারিং-এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার ঘনিষ্ঠ সহোযোগী হিসেবে ছিলেন।

দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেন কমিশনের সহকারি পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর নামে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মিলেছে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ ছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাধন চন্দ্র মজুমদার নিজের এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৬৫টি হিসাবে মোট ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫ টাকা লেনদেন করেন। যার মধ্যে ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৭ টাকা জমা রেখেছেন ও ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১১৮ উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে এসব ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৭০ টাকা স্থিতি রয়েছে। তার এই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন সন্দেহজনক, যা খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বলে দুদকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com