সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিজ দেশ ছেড়ে দেশান্তরী হয়েছেন। তাহলে এবার কি স্ত্রীকেও হারাতে বসেছেন এই প্রেসিডেন্ট? এমনই এক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন তার স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। মস্কোর জীবনযাপনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে লন্ডনে চলে যেতে চান বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তুর্কি ও আরব মিডিয়ার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে।
তুর্কি ও আরব মিডিয়ার বরাতে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসমা সম্প্রতি রাশিয়ার একটি আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন এবং একই সঙ্গে মস্কো ছাড়ার জন্য বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন। তার আবেদনটি বর্তমানে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ও রাশিয়ায় আটকে রাখার খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। এই সংবাদকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনগুলোর কোনো সত্যতা নেই।’
পেসকভ আরও বলেন, ‘আসাদ মস্কোতে আটক এবং তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, এ ধরনের সংবাদও ভিত্তিহীন।’
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে লন্ডনে সিরীয় বাবা-মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন আসমা। আসমা আল-আসাদের দ্বৈত ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিকত্ব রয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার আগে তিনি লন্ডনের কিংস কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ফরাসি সাহিত্যে ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে আসমা সিরিয়ায় যান এবং একই বছর আসাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
উল্লেখ্য, এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে— হাফেজ, জেইন এবং করিম। সিরিয়ার বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে আসমা তার সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত হতে চেয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।