বৃহস্পতিবার, ০৭:১২ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ যথাসময়েই হবে ইজতেমা, ছাড় পাবে না সহিংসতাকারীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাংকে ঢুকেছে ডাকাতদল, অভিযানে যৌথবাহিনী আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই: বদিউল আলম মজুমদার বাতিল করা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা-মইনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ খালেদা জিয়া অসুস্থ, শনিবারের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত যেভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের দুই মাসের মধ্যে ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষের নির্দেশ

টিউলিপের বিরুদ্ধে রাশিয়া সফর ও ৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ নেয়ার অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রিটেনের আর্থিক খাতে দুর্নীতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের কাঁধে। টিউলিপের জন্মভূমি বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে জড়িত কথিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিক, তার যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মা শেখ রেহানা সিদ্দিক এবং তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের সহিংস বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বেসামরিক লোককে হত্যা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসিনা তার বোন রেহানাকে নিয়ে আগস্টে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশের হাইকোর্টের আদেশের পরে তদন্ত শুরু করা হয়। যেখানে দাবি করা হয় টিউলিপ সিদ্দিক মোট ১০ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক চুক্তির ‘দালালি’ করতে সহায়তা করেছিলেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে রোসাটম নামে একটি রাশিয়ান রাষ্ট্র সমর্থিত কোম্পানি কাজ করছে। ২০১৩ সালে হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টিউলিপ সিদ্দিকের উপস্থিতিতে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। টিউলিপ তখন একজন লেবার কাউন্সিলর ছিলেন।

দুদক সিদ্দিকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। যার মধ্যে তার খালাতো ভাই সজীব ওয়াজেদ জয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং তার চাচা তারিক সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালতের কাগজপত্রে তাদের নাম ছিল। দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কমিশন জড়িতদের অবস্থান নির্বিশেষে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সিদ্দিক এ বিষয়ে অস্বীকার করেছেন।

মমমমম

তবে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, আমেরিকান ওয়েবসাইটে প্রথম প্রকাশিত হওয়া অভিযোগ ‘ভুয়া’। আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক এবং সিদ্দিকের পারিবারিক বন্ধু সৈয়দ ফারুক বলেন, ‘এই গল্পগুলো বানোয়াট। এগুলো হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ। তারা টিউলিপকে আক্রমণ করছে, কারণ সে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। জুলাই মাসে সিটি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সিদ্দিককে ঘিরে ঘুষের তদন্ত হল বিতর্কিত একটি বিষয়। তিনি প্রায় ১৪ মাস ধরে লন্ডনের একটি সম্পত্তির ভাড়ার আয় ঘোষণা করেননি বলে সংসদীয় মানদণ্ড মেনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল।’

সংসদীয় নিয়ম অনুসারে সদস্যদের ২৮ দিনের মধ্যে এই জাতীয় আয় ঘোষণা করতে হবে। টিউলিপ যার অফিসিয়াল উপাধি ট্রেজারির অর্থনৈতিক সচিব। তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং ভুলটি ‘অসাবধানতাবশত’ হয়েছিল বলে স্বীকার করেছিলেন। আগস্টে একই সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিল কীভাবে সিদ্দিক দুই বছর আগে ২ মিলিয়ন পাউন্ডের পাঁচ বেডরুমের বাড়িতে চলে যান, যেটি তিনি তার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। একজন বাংলাদেশি বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজ সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করার পরে সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।

দদদদদ

আদালতের কাগজপত্রে উদ্ধৃত বাংলাদেশি মিডিয়ার বিভিন্ন নিবন্ধের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছিল। টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবার পারমাণবিক চুক্তির সময় ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে ১২৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিটি ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে হাসিনা ও পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল যেখানে সিদ্দিক, তার মা রেহানা (৬৯) ও ছোট বোন আজমিনা (৩৪) উপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিক ও তার পরিবার এমনকি পরে রাশিয়ান রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ছবিও তোলেন।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে মার্কিন ভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটের রূপপুর বিষয়ক নিবন্ধের প্রকাশের পর, বাংলাদেশি মিডিয়াও সেটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ৪ বিলিয়ন পাউন্ড কীভাবে চুরি করা হয়েছিল তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

রিট পিটিশনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিষয়ে রাশিয়ান সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পরিচালনা ও সমন্বয় সাধনে টিউলিপ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তা জানানো হয়। নথিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ক্রেমলিন থেকে হাসিনা সরকারের কাছে ঋণের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছিল, কিন্তু হাসিনা পরিবার মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে ‘রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছে।

মমমমমমম

নথিতে বলা হয়েছে, সিদ্দিক, হাসিনা ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মধ্যস্থতার বিনিময়ে আত্মসাৎকৃত তহবিলের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন। এমনকি  দাবি করা হয়েছে যে, প্রচ্ছয়া লিমিটেড নামের একটি ‘ভুয়া’ কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৭০৯ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত পাচার করা হয়েছে ‘যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে’। হাসিনার শাসনের বৈশিষ্ট্য ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গুম করা।

অ্যামনেস্টির মতো গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে হাসিনা সরকারের অপব্যবহারের কথা তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের একটি আদালত তার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ গত মাসে বলেছিলেন যে, তার মা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং ‘কোনো ভুল করেননি’। কিন্তু হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি অন্যান্য দুর্নীতির বিষয়ে আদালতে বিভিন্ন কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। টিউলিপ অতীতে তার খালা হাসিনাকে একজন ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন, কিন্তু আগস্টে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি টিউলিপ। তার খালার কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী টিউলিপের সম্পৃক্ততা এক দশকেরও বেশি পুরোনো, কারণ এরপর তিনি বৃটিশ মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।

উইট ইস্টের টোরি এমপি জো রবার্টসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্ট যে অভিযোগ গুরুতর, এখানে মন্ত্রী টিউলিপের সম্পৃক্ততা কতখানি ছিল তা জানা প্রয়োজন। গুরুতর তদন্তের অধীনে থেকেও সিদ্দিক কি তার মন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন?’

ট্রেজারি বিভাগ লেবার পার্টি এবং টিউলিপ মন্তব্য করতে চাননি, তবে একটি সূত্র জানিয়েছে যে এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। রোসাটমের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এর আগে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত উস্কানিমূলক খবর রোসাটম প্রত্যাখ্যান করে। আমরা স্বচ্ছ অনুশীলন, কঠোর দুর্নীতিবিরোধী নীতি এবং সমস্ত লেনদেন প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মিডিয়ায় প্রকাশিত এবং প্রচারিত মিথ্যা তথ্যকে প্রকল্পটিকে অসম্মান করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখি, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে স্বাক্ষর করার সময় একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভিডিও প্রকাশের পরে নগর মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। ফুটেজে সিদ্দিককে ক্রেমলিনে তার খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি দলের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। দ্য মেইল অন সানডে প্রকাশ করার নয় বছর পর এটি প্রকাশ্যে আসে যে ২০১৩ সালের অনুষ্ঠানে পুতিন এবং তার খালার সঙ্গে সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। হাসিনা বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ে লেবার জোর দিয়ে বলেছিল যে তৎকালীন সংসদীয় প্রার্থী সিদ্দিক যেকোনো সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ ছিলেন না, তার পরিবারের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে ভিডিওগুলো প্রকাশ করে যে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে এটি একটি ‘পারিবারিক অনুষ্ঠান’ ছিল। ছবিতে পুতিন ও হাসিনাকে একটি অলঙ্কৃত ডেস্কে বসে ছবি তুলতে দেখা যায়। তাদের পেছনের দেয়ালে ছিল রুশ ও বাংলাদেশের পতাকা। ১ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উভয় নেতা একে অপরের দেশের প্রশংসা করে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বিতর্কিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি, যা এখন বাংলাদেশে তদন্তের অধীন এই অনুষ্ঠানেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পুতিনের সঙ্গে হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের পরে একই ঘরে এই পারিবারিক ছবি তোলা হয়েছিল।

ভিডিওতে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোন আজমিনা বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের খালার পেছনে হাঁটছেন। একজন লেবার মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে  বলেছেন, ‘এটি টিউলিপ এমপি হওয়ার ১১ বছর আগের ঘটনা। টিউলিপ শুধুমাত্র তার খালাকে দেখতে এবং তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। পারিবারিক সদস্য হওয়ায় তিনি যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, তাতে তার কোনো ভূমিকা ছিল না।’

যদিও টোরি দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি টিউলিপ সিদ্দিকের তথাকথিত পারিবারিক মস্কো সফরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে অবশেষে সিদ্দিকের রাশিয়া সফর এবং এই ছবির পেছনের সত্য উদ্ঘাটনের সময় এসেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com