বুধবার, ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

১০ লাখ টাকা দিলেই মিলত মুক্তিযোদ্ধা সনদ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫ বার পঠিত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেন, বিগত সময়ে ঘুসের বিনিময়ে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেকেই জড়িত ছিলেন। তারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা) দলীয় লোকজন দিয়ে পরিচালনা করেছেন। সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নামে একটা প্রভাব বিস্তার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নিরূপণ ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিলে একটি নিরপেক্ষ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গঠন করে দিয়েছি। এতে ঘুসসহ ছলচাতুরী করে যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন তারা বাতিল হবেন। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে নতুন কমিটি। একই সঙ্গে দল বিবেচনাসহ যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পায়নি তাদের আবেদন আন্তরিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নতুন করেও তারা আবেদন করতে পারবেন। আমরা চাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাক।

ছেলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণের পরও মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাননি বরিশালের ফরিদ উদ্দিন। ভাগনে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা অভিযোগ তুলে সাক্ষাৎকার থেকেই বের করে দেওয়া হয় জেনারেল এমএজি ওসমানীর সুপারিশপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সরদারকে। ঘুসের প্রতিবাদ করায় আজ পর্যন্ত স্বীকৃতিই মেলেনি একেএম সাজাহানের। এখানেই শেষ নয়। চাহিবামাত্র ঘুস দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সনদ-ভাতা বাতিল করে দেওয়া হয় সৈয়দ এনামুল হকের।

টাকার লোভে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা বীর সেনানীদের স্বীকৃতি দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। ঠুনকো অভিযোগে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উপরন্তু কোনো প্রমাণপত্র ছাড়াই শুধু ঘুস আর দলীয় প্রীতি দেখিয়ে ভুয়া ও বিতর্কিতদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার হাজারও অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী কমপক্ষে ২০ মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ, দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে যুগান্তরকে জানিয়েছেন এসব কথা। এ সময় বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রামের বীরত্বগাথা দালিলিক প্রমাণ প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কথাও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্ণনা করেন যুগান্তরের কাছে।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশের ভাতাপ্রাপ্ত মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। গেজেট বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা বয়সসীমা নির্ধারণসহ প্রায় ১৪ ক্যাটাগরিতে মোট মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯টি। ইতোমধ্যে নির্ধারিত বয়সের (১২ বছর ৬ মাস) কম হওয়ায় ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে ৩৯২৬ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল হয়েছে। আরও প্রায় ১৩ হাজার সনদ বাতিল প্রক্রিয়া জামুকায় অপেক্ষমাণ। এদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতপন্থি মুক্তিযোদ্ধা।

সম্প্রতি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও ১০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কলাণ ট্রাস্টি বোর্ড ও নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।

জেলা, উপজেলা থেকে সুপারিশকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, অনেক আবেদন আছে যেখানে শুধু তিনজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর আছে। তারাও গেজেটভুক্ত হয়েছেন। অনেকের সুপারিশকারী বর্তমান জেলা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। অন্য কোনো প্রমাণপত্র নেই। তারাও গেজেটভুক্ত হয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। শুধু আবেদনের ওপরও ভাতা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাচাই-বাছাই করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, অনেক জেলা-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। অমুক্তিযোদ্ধা ও বিতর্কিতদের কাছ থেকে ঘুস নিয়ে মন্ত্রীসহ অন্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন রোববার যুগান্তরকে বলেন, আমরা এমন আর্থিক লেনদেনের কথা শুনেছি। ভুয়া ও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হলে বোঝা যাবে এর পরিমাণ কত। তিনি বলেন, একটি আইনি সংস্কার অনুমোদন হলে এ বিষয়ে কাউন্সিল তাদের কাজ শুরু করতে পারবে আশা করি।

পাঁচ লাখ টাকা ঘুস চাওয়ায় সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের মুখের সামনে ‘আপনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন’ বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সাজাহান। ফলে সম্মুখ যুদ্ধের এই যোদ্ধা আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাননি। নিজের স্বীকৃতির দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করেন সাজাহান। আদালত একেএম সাজাহানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল।

জানতে চাইলে একেএম সাজাহান যুগান্তরকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের ফেনী পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। ২০২২ সালে সোনাগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি আমাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত করতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বরাবর তালিকা পাঠায়। কিন্তু জামুকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রী মোজাম্মেলের গ্রিন সিগন্যাল না থাকায় ফাইল আটকে রাখে। পরে কয়েক দফা মন্ত্রী মোজাম্মেলের সঙ্গে দেখা করলে সরাসরি তিনি ৫ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমি ঘুস দিতে পারি না। ঘুস না দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে আজ আমি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত।

ছেলে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম ওঠেনি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের। বীরপ্রতীক রত্তন আলী শরীফ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বরিশাল জেলা কমান্ড ইউনিটের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আলম ফরিদ। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাবুগঞ্জ উপজেলা কমান্ড ইউনিটের সাবেক আহ্বায়ক (প্রয়াত) আব্দুর রহিম, রণক্ষেত্রের তিনজন সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুপারিশ করলেও কর্ণপাত করেনি বাছাই কমিটির সদস্যরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। বীরপ্রতীক রত্তন আলী শরীফের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি। আবার আমার নেতৃত্বে যারা যুদ্ধ করেছেন তারাও গেজেটভুক্ত হয়েছেন। আমার জন্য তারা সুপারিশও করেছেন। কিন্তু আমার ও ছেলের দলীয় পরিচয় ও ঘুসের ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম রাখেননি। আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুস চেয়েছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা কমান্ডার আনিস শিকদার। মন্ত্রীকে নাকি দিতে হবে। ঘুস দেইনি। পরে বিএনপির লোক আখ্যায়িত করে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করেন তারা। ঘুস, অনিয়ম ও আমার অধিকার ফিরে পেতে থানায় মামলা করেছি।

জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বরিশাল জেলা ছাত্রদল সভাপতি এমএ মিঠু যুগান্তরকে বলেন, আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধারাও তা অকপটে স্বীকার করেন। কিন্তু আমি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও বাবা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য হওয়ায় তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু জেলা-উপজেলা থেকে রাজনৈতিক পরিচয় বিএনপি হওয়ার কারণে আমার বাবার ফাইল বাতিল করে দেয়। কয়েকবার মন্ত্রণালয় ঘুরেছি। এখানেও সবাই টাকা চায়। তাই শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুগঞ্জ উপজেলার সাবেক কমান্ডার আনিস শিকদার রোববার যুগান্তরকে বলেন, আমি যাচাই-বাছাইকালে কোনো ঘুস চাইনি। টাকা লেনদেন নিয়ে ফরিদ উদ্দিন সাহেব আমার নামে মামলা করেছেন। এটা মিথ্যা মামলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভাগনে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই ভাইভা বোর্ড থেকে বের করে দেওয়া হয় মোহাম্মদ আলী সরদারকে। তিনি ৯নং সেক্টরে ৩ নম্বর জোনে কমান্ডার নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন। ৯নং সেক্টরে অধিনায়ক এমএজি ওসমানীর দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদও রয়েছে তার।

মোহাম্মদ আলী সরদার মারা গেলে তার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির দাবিতে স্ত্রী নূরজাহান বেগম ২০১৪ সালে পুনরায় আবেদন করেন। ২০১৭ সালে জামুকা সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে উপজেলা বাছাই কমিটি একই অভিযোগে আবেদন ফের বাতিল ঘোষণা করে। মোহাম্মদ আলীকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে গৌরনদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার মেসবাহ উদ্দিন সুমন যুগান্তরকে বলেন, শুধু ভাগনে বিএনপি নেতা হওয়ার কারণে তিনি স্বীকৃতি পাননি। তখনকার উপজেলা কমান্ডার মুনিরুল ইসলাম সেন্টু বাছাই কমিটিতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। বিএনপি করার কারণে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পায়নি।

মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন সুমন বলেন, এখানে ঘুসের বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা কমিটিতে থেকেও এর প্রতিবাদ করতে পারিনি। জামুকা সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ছিলেন। শুনেছি এসব ঘুস মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে ওয়ালিউল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমার বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অথচ তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের কাছেও টাকা চাওয়া হয়েছিল কিন্তু দিতে পারিনি। সে সময় যারাই টাকা দিয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছেন।

ঘুস দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের সনদ বাতিলসহ ভাতা বন্ধ করে দেয় সাবেক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ওয়ারিশসূত্রে তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা করে ভাতাপ্রাপ্ত হন। সে বছর অক্টোবর থেকে তার ভাতা বন্ধ করে দেয় মন্ত্রণালয়। কাগজপত্রসহ মন্ত্রী মোজাম্মেলের কাছে যোগাযোগ করা হলে ঘুস দাবি করেন। ঘুস দিতে না পারায় বিনা কারণে বাতিল হওয়া ভাতা আর চালু করেননি তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমার প্রয়াত স্বামীর সনদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে আমাকে আমার স্বামীর প্রাপ্য সম্মানি থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই, আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি ফিরে পেতে চাই।

এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে টেক্সট মেসেজ করেও তার জবাব পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com