ভারতের দিল্লিতে একের পর এক স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়াল সোমবার সকালে। এখন পর্যন্ত অন্তত দু’টি স্কুলের কথা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। একটি দিল্লির আরকে পুরমে এবং অন্যটি পশ্চিম বিহার অঞ্চলে।
উভয় ক্ষেত্রেই ইমেল করে এ হুমকি দেয়া হয়েছে। বোমাতঙ্ক ছড়াতেই উভয় স্কুলের কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। খবর দেয়া হয় পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পাওয়ার সাথে সাথে দু’টি স্কুলে পৌঁছায় দিল্লি পুলিশের দু’টি দল।
বার্তাসংস্থা এএনআই দিল্লি পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা থাকার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা স্কুলে ওই হুমকি ইমেল পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রোববার গভীর রাতে স্কুলে ইমেল করে ওই হুমকি পাঠানো হয়। সোমবার সকালে স্কুল খুলতেই বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। বোমাতঙ্ক ছড়াতেই তারা অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেন।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৭টার দিকে বোমাতঙ্কের খবর জানতে পারে তারা। এখন পর্যন্ত পুলিশ দু’টি স্কুলে বোমাতঙ্কের কথা নিশ্চিত করছে।
তবে ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা থাকার হুমকি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। যদিও বাকি স্কুলগুলোর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ওই হুমকি ইমেলের প্রেরক দাবি করেছে, তিনি স্কুল চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট বোমা লুকিয়ে রেখেছে। এগুলো ফাটলে স্কুলভবনের বিশেষ ক্ষতি না হলেও, অনেকে জখম হবে।
বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৩০ হাজার ডলার দাবি করেছেন ওই ইমেলের প্রেরক। ওই টাকা না পেলে তিনি বোমা ফাটিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
তবে সত্যিই বোমা রাখা আছে, নাকি এটি কোনো ভুয়া হুমকি, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দিল্লি পুলিশ ওই ইমেলের আইপি অ্যাড্রেস ধরে প্রেরককে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি দিল্লির প্রশান্ত বিহারে একটি স্কুলের কাছে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনার পর রোহিণীতে একটি স্কুলেও বোমাতঙ্ক ছড়ায়। যদিও স্কুল চত্বর এবং আশপাশের অঞ্চলে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও ওই সময় সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা