বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আবু সাঈদ আমাদের এই স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রধান আইকন ও সেনাপতি। তিনি অধিকার চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে পরপর তিনটি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাকে সেলুট জানাই। আমরা সকলকে ধৈর্য ধরতে বলেছি। এই বাংলাদেশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কোনো ধর্মের ওপর হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝালকাঠিতে দলীয় কর্মীদের দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘একটি উগ্রগোষ্টী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবীকে হত্যা করেছে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে। কিন্তু এ দেশের দায়িত্বশীল মুসলমানরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধরেছি, দেশের মানুষকে শান্ত করেছি। এ দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিতে বসবাস করবে। কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে কাউকে পাহারা দিতে হবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোর্ট-কাচারি, অফিস-আদালতে কোথাও গিয়ে আপনি লাঞ্চিত হবেন না। থাকবে না কোথাও কোনো সুদ-ঘুষ বাণিজ্য। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন, শ্রমিক পাবেন তার ঘামের মজুরি। জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কাউকে অধিকার ভিক্ষা করতে হবে না। সবাইকে তার অধিকার সম্মানের সাথে দেওয়া হবে।’
বর্তমান সরকারের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখনো যারা কারাগারে বন্দী আছেন, তাদের মুক্ত করতে হবে। অতীতের স্বৈরশাসক জাতিকে ভাগ করে টুকরো টুকরো করে জাতীর মধ্যে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চাই হিংসা-বিদ্বেষের অবসান হোক। সবগুলো হাত একত্রিত হয়ে সবাই মিলে একটা মহাসমুদ্রে পরিণত হোক।’
জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অ্যাড. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, জামায়াত নেতা মাসুদ সাঈদী।
এ সময় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এরপর জামায়াত আমির ঝালকাঠি নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসায় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুসলিহিন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।